শিরোনাম
জয়ের জন্য ১৫০ রানের লক্ষ্যে বাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৭ রান তুলে ফেলেছিলো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকান মেয়েরা। এতটুকু দেখে যে কেউ ধারণা করে নিতে বাধ্য যে, প্রোটিয়া নারীরাই হয়তো এই ম্যাচে জিততে যাচ্ছে।
কিন্তু বেনোনির উইলোমুর পার্কে পরের অংশটা লিখা ছিল বাংলাদেশের জন্যই। বিশেষভাবে বললে, বাংলাদেশের লেগ স্পিনার স্বর্ণা আক্তারের জন্য। এই লেগির মায়াবী ঘূর্ণিপাকে পড়ে খেই হারিয়েছে স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩৬ রানেই আটকে থাকতে হলো তাদের।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় পেলো ১৩ রানের ব্যবধানে। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নিলেন স্বর্ণা আক্তার।
দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের বিপক্ষে তাদের মাটিতে যে কোনো সংস্করণে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়। তবে, টি-টোয়েন্টিতে ১১ বছর আগে একবার প্রোটিয়াদের হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। সেবার সেই জয়ের স্বাদ নিয়েছিলো মিরপুরে।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম দেখাতেই জয় পেয়েছিলো সেই ২০১২ সালে। এরপর গত ১১ বছরে ১০ বার মুখোমুখি হয়ে একবারও জেতেনি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। এবার ১২তম ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেলেন।
এবার জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই। প্রথম ব্যাট হাতে মুর্শিদা খাতুন এরপর বল হাতে স্বর্ণা আক্তার বিধ্বংসী বোলিং করে অসাধারণ জয়টি উপহার দিলেন। চলতি বছরেই অভিষেক ঘটেছিলো স্বর্ণা আক্তারের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন মুর্শিদা এবং অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। মুর্শিদা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে সংগ্রহ করেন ৬২ রান। ঝোড়ো ব্যাটিং করে অধিনায়ক জ্যোতি সংগ্রহ করেন ২১ বলে ৩৪ রান। এ দু’জনের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৯।
১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই প্রোটিয়া ওপেনার আনিকা বোস এবং টাজমিন ব্রিটসের উদ্বোধনী জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলে ফেলে ৬৯ রান। অধিনায়ক টাজমিস ব্রিটস ২৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন রাবেয়া খাতুনের বলে। এরপর অ্যানেরি ডার্কসেন ৫ বলে ১ রান করে আউট হয়ে যান ফাহিমা খাতুনের বলে বোল্ড হয়ে।
১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা আনিকা বোসকে ৬৭ রানের মাথায় ফিরিয়ে দেন স্বর্ণা আক্তার। আনিকা বোস আউট হওয়ার পরই বাংলাদেশের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। সান লুইস করেন ১৮ রান এবং ডেলমি টাকার ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
স্বর্ণা আক্তারের ৫ উইকেট ছাড়াও ১টি করে উইকেট নেন নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন এবং রাবেয়া খান।