শিরোনাম
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের আউট যেন পুরো বিশ্বকে তোলপাড় করে দিয়েছে। মাঠে নেমে নির্ধারিত সময়ের ভেতর বল মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় টাইমড আউটের শিকার হন ম্যাথিউস। আর তাতেই পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এমন অদ্ভুত আউটের সাক্ষী হলেন ম্যাথিউস। পুরো ক্রিকেট দুনিয়ায় এখনো আলোচনায়, এই আউট ক্রিকেটের স্পিরিট বিরোধী কি না!
আধুনিক যুগে ক্রিকেটের আইনও অতীতের যেকোন সময়ের থেকে কঠিন। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে হয়তো অনেকেই সমালোচনা করতেই পারেন এমন আউটের আপিল জানানোর জন্য। এটা যদি কোনো প্রদর্শনী ম্যাচ হতো, হয়তো সাকিব আল হাসান এমনটা করতেন না কখনোই। কিন্তু সকলকে বুঝতে হবে, এটা বিশ্বকাপের ম্যাচ।
দুই দলের কোনদলেরই সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা ছিল না, কিন্তু তারা কেউই বিশ্বকাপ থেকে কম পয়েন্ট নিয়ে সমালোচনাকে সঙ্গী করে বিদায় নিতে চাইবে না। স্পিরিট অব ক্রিকেট সবসময় বড় মঞ্চে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে, যেমনটা আমরা লর্ডস টেস্টে এ বছর দেখেছি জনি বেয়ারস্টোর বিপক্ষে।
বিশ্বকাপের জন্য আইসিসির দুই মিনিটের আইন এবং এমসিসির ৪০ নম্বর আইনে টাইমড আউটের কথা বলা আছে যা অবশ্যই দরকার আছে এবং প্রয়োগ করাও উচিত।
এটাকে অন্যভাবে চিন্তা করে দেখলে জিনিসটা একটু ব্যতিক্রমই মনে হবে। ধরুন, ১১ নম্বর ব্যাটার ব্যাটিংয়ে আসলো। তখন সে এসে দুই মিনিটের মাথায় বল মোকাবেলা করার আগেই তার কিটে সমস্যা দেখা দিলো, তখন? সে খেলাটাকে বিলম্বিত করলো কোন বল মোকাবেলা করার আগেই। এতে করে বোলিং দলের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটতেই পারে।
তবে এই আইন আরো হালনাগাদ করা উচিত যাতে করে কোন ক্রিকেটার তার নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামাদিতে কোন সমস্যার মধ্যে পড়ে সেটি পাল্টাতে সময় পায়। খেলাধুলাতেই এমন সব পাগলাটে ঘটনা ঘটে থাকে। প্রথমবারের মতো এমন পাগলাটে ঘটনায় ৪০ নম্বর আইনের প্রয়োগ ঘটিয়েছিল ১৯১৯ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরের বছরেই।
তখন চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলো দুই দিনে খেলা হতো। বিপক্ষ দলের এক ব্যাটসম্যান কৃত্রিম পা নিয়ে খেলেছিল কারণ তার এক পা বিশ্বযুদ্ধের সময় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ম্যাচের ভেতর তিনি ইনজুরিতে আক্রান্ত হলে রানারের সাহায্য নিতে পারতেন কিন্তু তিনি ম্যাচ শুরুর আগেই পা হারান।
ক্রিকেটে এমন আইনের দরকার আছে, তবে অবশ্যই আইনটিতে আরো পরিবর্তন আনা উচিত। ক্রিকেটীয় সরঞ্জামের জন্য কোনো ক্রিকেটারকে আউট দেওয়াটা মানবিক দিক থেকেও দৃষ্টিকটু। সেক্ষেত্রে আইসিসির বিষয়টি নিয়ে আরো ভাবা উচিত।