শিরোনাম
এই আফগানিস্তানকে রুখবে সাধ্য কার! বিশ্বকাপে একের পর এক রোমাঞ্চ ছড়িয়েই যাচ্ছে আফগানিরা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি যে ক্রিকেটেও বিশ্ব মঞ্চে বড় দল হয়ে উঠছে সেটারই যেন জানান দিচ্ছে ভারতে অনুষ্ঠেয় ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান বধের পর এবার আরেক টেস্ট খেলুড়ে দেশ শ্রীলঙ্কাকেও বধ করলো রশিদ খানরা। লঙ্কানদের বিপক্ষে তারা ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখলো।
ব্যাটিং সহায়ক পিচে কুশল মেন্ডিসদের দেয়া ২৪২ রানের লক্ষ্যমাত্রা অনায়ায়েসই টপকে গেল ইব্রাহিম জাদরানরা। তবে প্রথম ওভারেই রহমানুল্লাহ গুরবাজকে শূন্য রানে আউট করে আফগানদের কিছুটা বিপদে ফেলে দেন মাধুশাঙ্কা।
তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। এই দুই ব্যাটার ৯৭ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে সাময়িক বিপর্যয় সামাল দেন। ১৭তম ওভারে তাদের জুটি ভাঙেন সেই মাধুশাঙ্কা। ৫৭ বলে ৩৯ রান করে করুনারত্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাশমতুল্লাহ শহিদির সঙ্গে আবারো অর্ধশত রানের জুটি গড়েন রহমত শাহ। এক প্রান্ত আগলে রেখে ২৫তম ওভারে নিজের ২৫তম ওয়ানডে অর্ধশতক তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। অর্ধশতকের পর অবশ্য বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হননি তিনি। রাজিথার বলে করুনারত্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭৪ বলে ৬২ রান করে ফেরেন তিনি।
৪র্থ উইকেট জুটিতেই মূলত খেলাটা আফগানিস্তানের অনুকূলে নিয়ে আসেন শহিদি ও আজমতউল্লাহ। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন এই দুই ব্যাটার। দুই জনই তুলে নেন অর্ধশতক। শহিদি ৫৮ ও আজমতউল্লাহ ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেন।
লঙ্কান বোলারদের ভেতর মাধুশাঙ্কা ২টি ও রাজিথা ১টি উইকেট নেন।
এর আগে পুনেতে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। দেখেশুনে শুরু করেছিল লঙ্কানরা। কিন্তু দলীয় ২২ রানের মাথায় উদ্বোধনী জুটি ভেঙে দেন ফজলহক ফারুকি। দিমুথ করুনারত্নে (২১ বলে ১৫) পড়েন লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে।
শুরুর সেই ধাক্কা অনেকটাই সামলে নিয়েছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা আর কুশল মেন্ডিস। তাদের ৬২ রানের জুটিটি ভাঙে নিশাঙ্কাকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই তুলে নিলে। ৬০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৬ রান করেন নিশাঙ্কা।
এরপর কুশল মেন্ডিস আর সাদিরা সামারাবিক্রমা গড়েন ৫০ রানের জুটি। একটা সময় ২ উইকেটেই ১৩৪ রান তুলে ফেলেছিল লঙ্কানরা। সেখান থেকে হঠাৎ ব্যাটিং ধস।
একে একে সাজঘরের পথ ধরেন কুশল মেন্ডিস (৫০ বলে ৩৯), সাদিরা সামারাবিক্রমা (৪০ বলে ৩৬), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (২৬ বলে ১৪), চারিথ আসালাঙ্কা (২৮ বলে ২২)। রানআউট হন দুশমন্ত চামিরা (১)। ৭ উইকেটে ১৮৫ রানে পরিণত হয় শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে ম্যাথিউস আর থিকসানা দলকে মোটামুটি সম্মানজনক একটা পর্যায়ে নিয়ে যান। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ২৩ আর লোয়ার অর্ডারের মাহিশ থিকসানা ২৯ রান না করলে আরও বড় বিপদে পড়তো লঙ্কানরা।
আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি ৩৪ রানে নেন ৪টি উইকেট। ২টি উইকেট শিকার মুজিব উর রহমানের।