শিরোনাম
৪৪ বছর পর আফগানিস্তানকে আবার হারানোর স্বপ্নটা পূরণ হয়নি বাংলাদেশের। তবে ঘরের মাঠে আফগানদের কাছে কখনো না হারার রেকর্ডটা ধরে রেখেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশ ১-১ গোলে ড্র করেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ম্যাচের দুটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে।
প্রথম ম্যাচে সহজ সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারায় জয়বঞ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে অপেক্ষাকৃত ভালো ফুটবল খেলে আফগানরা এগিয়ে গিয়েছিল ৫২ মিনিটে। যদিও সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয় স্বাগতিকরা। ১০ মিনিটের মধ্যে গোল শোধ দিয়ে হার এড়িয়ে মাঠ ছেড়েছে ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
৩০ মিনিট থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর মুষলধারে বৃষ্টি। তার মধ্যেই খেলা চালিয়ে যান নেপালের রেফারি। বৃষ্টিভেজা মাঠে ৪০ বাংলাদেশ পেয়েছিল প্রথম সুযোগ। রাকিবের শট আফগানিস্তানের গোলরক্ষক রুখে দিয়েছেন।
৫২ মিনিটে অমিদ পোপালজের কর্নার থেকে হেডে গোল করে আফগানিস্তানকে এগিয়ে দেন জাবার শারজা। সাদ উদ্দিন, বিশ্বনাথ ও তপু বর্মন কাছাকাছি থাকলে আটকাতে পারেননি আফগান ফরোয়ার্ডকে।
৬২ মিনিটে বিশ্বানাথ ডান দিক ঢুকে গোলমুখে নিঁখুত ক্রস ফেলেন। মোরসালিন পা লাগিয়ে বলটি শুধু জালে পাঠিয়েছেন। আগের কয়েকটি ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া মোরসালিন এ গোলটি পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেলেন। তরুণ এ ফরোয়ার্ডের গোলেই শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ।
৬৭ মিনিটে বাংলাদেশের পেনাল্টির দাবি ছিল। জামালের শট বক্সে আফগান ডিফেন্ডার ফারজাদ আতাইয়ের হাতে লাগে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা পেনাল্টির দাবিতে রেফারিকে ঘিরে ধরলেও তিনি সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
৭৮ মিনিটে জুনিয়র সোহেল রানার কাটব্যাক ছোট ডি এর মাথা থেকে বল-পায়ে সংযোগ ঘটাতে পারেননি মোরসালিন। মোরসালিন সহজ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
৮৬ মিনিটে কর্নার থেকে জটলা। তপুর হেড আফগান ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে ফেরত আসে। শেষ পর্যন্ত ১-১ সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ
আনিসুর রহমান জিকো, ইসা ফয়সাল (সাদ উদ্দিন), তপু বর্মন, মো. রিদয় (ফাহিম), জামাল ভূঁইয়া (ইব্রাহিম), মোরসালিন (জনি), রাকিব হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, সোহেল রানা-১, সোহেল রানা-২।