শিরোনাম
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) টাইগার ব্যাটাররা লাহোরে পাকিস্তানের পেস আক্রমণে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
এই দুই ব্যাটার পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১২০ বলে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেন। অভিজ্ঞ এই দুই ব্যাটার ফিফটি পূর্ণ করার পর বেশি দূর এগোতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায় হাথুরুসিংহের শিষ্যদের ইনিংস।
পাল্টা জবাব দিতে নেমে ৩৯.৩ ওভারে ৩ উইকেট ১৯৪ রান সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক পাকিস্তান। ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের মোকাবিলা করবে বাবর আজমরা।
এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে খেলবে সাকিব বাহিনী পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে ফখর জামান ২০, ইমাম উল হক ৭৮, বাবর আজম ১৭, মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬৩ ও আগা সালমান ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের যে ৩টি উইকেটের পতন ঘটেছে তা তুলে নেন শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদও মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। নাসিম শাহের প্রথম বলেই ফ্লিক করতে গিয়ে শর্টে ক্যাচ দেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মেরাজ।
নান্দনিক কিছু কভার ড্রাইভে চার মেরে দলীয় ৩২ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন এশিয়া কাপের নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন দাসও। লিটনের বিদায়ের পর জোড়া আঘাত হানেন পাক পেসার হারিস রউফ।
ব্যক্তিগত ২ রানের মাথায় তাওহিদ হৃদয়কে ফেরানোর পর ২০ রান করা নাঈম শেখকেও ফেরান তিনি। ৪৭ রানেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে ধুকতে থাকা বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন সাকিব-মুশফিক অভিজ্ঞ জুটি। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ।
এরই মধ্যে নিজের ফিফটিও তুলে নেন অধিনায়ক সাকিব। কিন্তু ঠিক শতরানের জুটি গড়ার পর দলীয় ১৪৭ রানে ফাহিম আশরাফকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
সাকিবের বিদায়ের পর শামীম ও আফিফ হোসেনকে নিয়ে কিছুক্ষন প্রতিরোধের চেষ্টা করেন মুশফিক। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৬ তম অর্ধশতক।
কিন্তু দলীয় ১৯০ রানের মাথায় রউফের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বসেন মুশফিক। মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিদূর এগোতে পারেনি টাইগারদের ইনিংসও।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে শরিফুল আউট হওয়ার আগে ৩৮.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় মাত্র ১৯৩ রান। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ৪টি ও নাসিম শাহ ৩ টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান শাহিন আফ্রিদি. ইফতেখার ও ফাহিম আশরাফ।