শিরোনাম
টাইব্রেকারে এক নাটকীয় জয়ে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে উঠেছে মেসির দল ইন্টার মায়ামি। সেমিফাইনালে সিনসিনাটিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে মায়ামি। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় মুখোমুখি হয় দুই দল।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে সমতা হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচ ৩-৩ গোলে সমতায় শেষ হয়। এরপর টাইব্রেকারে সিনসিনাটিকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে প্রথমাবের মতো ইউএস ওপেন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে মেসির মায়ামি।
পুরো যুক্তরাষ্ট্রের লিগেই শীর্ষ দল সিনসিনাটি। মায়ামির বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে ক্লাবটি। ম্যাচের ১৮তম মিনিটেই লুসিয়ানো অ্যাকোস্তার এগিয়ে যায় তারা। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে ওহাইওর ক্লাবটি।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৩তম মিনিটে ব্রান্ডন ভাসকুয়েজের গোলে ২–০ নিজেদের অবস্থান শক্ত করে সিনসিনাটি। তবে তখনও মেসির জাদু দেখানো বাকি। ম্যাচের বয়স যখন ৬৮ তখন মেসির অ্যাসিস্টে গোল করে লিওনার্দো কাম্পানার। এতে ব্যবধান কমে মায়ামির।
মূলত মায়ামির ফেরার গল্পের শুরুটা ৬৮তম মিনিটে। মাঠের একদম বাঁ প্রান্তে ফ্রি কিক পেয়েছিল তারা। মেসির ফ্রি কিকটা বক্সে একদম জটলার মধ্যে ফেলেছিলেন। বল ভালো, কাম্পানার একদম মাথার ওপর। একটু লাফিয়ে হেডে গোল করেন ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড। তাতেই যেন ম্যাচে প্রাণ ফেরে!
কিন্তু শুরুর ৯০ মিনিটে আর গোলের দেখা পায়নি মায়ামি। তবে ভাগ্যের চাকা ঘুরে যোগ করা সময়ে। শেষ বাঁশি বাজতে আর সর্বোচ্চ মিনিট দুয়েক বাকি। ঠিক তখনই বাঁ প্রান্ত থেকে নিখুঁত ক্রস বাড়ালেন মেসি। বলটা বাতাসে ভাসতে ভাসতে ইন্টার মায়ামি ফরোয়ার্ড লিওনার্দো কাম্পানার মাথায় এমনভাবে গিয়ে পড়ল যেন প্লেটে তুলে দেওয়া গোল!
কাম্পানাকে শুধু ঠিকঠাকমতো হেডটা করতে হয়েছে। ব্যস, সেই গোলেই সমতায় ফেরে মায়ামি। স্কোরকার্ডে গোলদাতার পাশে কাম্পানার নাম লেখা থাকলেও ওই গোলে মেসিকেই মনে রাখবেন সবাই। ২-২ গোলে মায়ামি সমতায় ফেরার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
৯৩ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রেমাশির পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শটে গোল করে মায়ামিকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন জোসেফ মার্তিনেজ। কিন্তু নাটকীয় এই ম্যাচে শেষ অঙ্কের চিত্রনাট্য তখনও শেষ হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে পরের অর্ধে ১১৪ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বল ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেননি মায়ামির ডিফেন্ডার। সুবিধামতো জায়গায় বল পেয়ে ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল করে ম্যাচের স্কোর ৩-৩ করেন সিনসিনাটির জাপানি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইয়ুয়া কুবো।
টাইব্রেকারে সিনসিনাটির হয়ে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন কুবো। মায়ামির হয়ে প্রথম শটটি নেন মেসি। বাঁ পাশের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর সিনসিনাটির সান্তিয়াগো আরিয়াস ও মায়ামির ফাকুন্দো ফারিয়াস দুজনেই লক্ষ্যভেদ করেন।
টাইব্রেকারের স্কোরকার্ডে ২-২ গোলে সমতা, সেখান থেকে ৪-৪ এবং তারপর মায়ামির গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার সিনসিনাটির নিক হ্যাগল্যান্ডের শট রুখে দেন। বেঞ্জামিন ক্রেমাশি এসে গোল করে মায়ামিকে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানের জয় এনে দেন।