শিরোনাম
মালদ্বীপের রাজধানী মালে সুন্দর শহর। ওখানে একদিন অতিরিক্ত থাকা মানেই বুকভরা শ্বাস নেওয়ার বাড়তি সুযোগ। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলারদের ওখানে অতিরিক্ত এক মুহূর্ত সইছে না।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর মালেতে বাংলাদেশ দলের হোটেল এখন যেনো এক নিষ্প্রাণ দালান। বাংলাদেশ দলের প্রত্যেক সদস্যের যেনো দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম, দ্রুত মালে ত্যাগ করতে পারলেই যেনো বাঁচেন।
মালদ্বীপ ছেড়ে ঢাকায় ফিরলেই কি বেদনার ঘাঁ শুকাবে? মাঠে বিপলু আহমেদের বদন থেকে রক্ত ঝরেছে। দলের সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে রেফারির দুইটি সিদ্ধান্তে। বুধবার নেপালের বিপক্ষে শেষ বাঁশির পর শেষ হয়ে গেছে জামাল ভূঁইয়াদের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসছে কয়েকটি ছবি। যার একটি বাংলাদেশ টিমের অ্যাটেডেন্ট মহসিনের। ম্যাচের পর তার কান্নায় ভেঙে পড়া ছবি মানুষের হৃদয়ে আঘাত করেছে। ছবি ভাসছে বিপলু আহমেদের মুখ কেটে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার। তিনটি সেলাই লেগেছে বিপলুর মুখে। সেই সঙ্গে রাকিব হোসেনসহ আরও কয়েকজন ফুটবলারের কান্না।
আসলে ছবিগুলোকে বিছিন্ন করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে এমন চিত্র লেগে আছে আষ্টে-পিষ্টে। ‘শেষ মুহূর্তে স্বপ্ন ভঙ্গ’- বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ নিয়ে এমন শিরোনাম বহুবার হয়েছে। কখনও নিজেদের দোষে, কখনও প্রতিপক্ষের কারিশমায় এবং কখনও রেফারি বা সহকারি রেফারিদের ভুল সিদ্ধান্তের বলি হয়ে।
নেপালের বিপক্ষে ড্র করে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়াকে কিভাবে দেখবেন? এর ব্যাখ্যা একেকজনের কাছে একেকরকম। কেউ রেফারির সিদ্ধান্তকে সঠিক বলছেন, কেউ বাঁশিওয়ালার মুন্ডুপাত করছেন। সঠিক হোক আর বিতর্কিত হোক- রেফারির দুটি সিদ্ধান্তই বাংলাদেশকে ছিটকে দিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে।
বাংলাদেশের মতো বাদ পড়েছে সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপও। স্বাগতিক দলের খেলোয়াড়রা হোটেল ছেড়ে ঘরে ফিরে গেছেন। বাংলাদেশ চেষ্টা করেও আগে-ভাগে ফিরতে পারছেন না। কেননা আগেই ১৭ অক্টোবর করা ছিলো ফিরতি টিকিট, এগিয়ে আনার চেষ্টা করেও পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই হোটেলে বসেই ভারত-নেপালের ফাইনাল দেখে ফিরতে হবে পরের দিন।
কাঁটা-ছেড়া মুখ, চোখে পানি আর ভাঙা হৃদয় নিয়েই এখন দেশে ফেরার অপেক্ষায় ফুটবলাররা। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরেকটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পর্যন্ত। সেই অপেক্ষা কবে ফুরোবে সেটাই দেখার। সূত্র: জাগো নিউজ