শিরোনাম
অবশেষে সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন ইতালি এবং জুভেন্টাস কিংবদন্তি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। ৪৫ বছর বয়সে এসে বুট এবং গ্লাভস জোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষকের ক্যারিয়ার ছিল দীর্ঘ ২৮ বছরের। সর্বশেষ দুই বছর তিনি খেলেছেন বালক বয়সে খেলা সিরি-বি এর ক্লাব পার্মার হয়ে। পার্মার হয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি ছিল তার। কিন্তু এক বছর বাকি থাকতেই চুক্তি শেষ করে দিয়ে সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন।
আজ টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় বুফন সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা সবাই আমাকে অনেক কিছু দিয়েছো। আমিও নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেয়ার চেষ্টা করেছি। যা অর্জন করেছি আমরা একসঙ্গেই করেছি।’
ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক হিসেবে বিবেচনা করা হয় বুফনকে। ক্লাব ফুটবলে তিনি ছিলেন জুভেন্টাসের গোলরক্ষক হিসেবে পরিচিত। জুভদের হয়ে দুই দশক খেলেছেন তিনি। মাঝে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ১২ মাসের জন্য ছিলেন পিএসজিতে।
১৯৯৫ সালে ১৭ বছর বয়সে পার্মার হয়ে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন বুফন। চার বছর পর তিনি কোপা ইতালিয়া, উয়েফা কাপ, সুপারকোপা জয় করেন পার্মার হয়ে। ২০০১ সালে জুভেন্টাসে চলে যান ৫২ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। ওই যা ছিল একজন গোলরক্ষকের ক্ষেত্রে রেকর্ড।
জুভেন্টাসে ১৯টি মৌসুমে তিনি ১০টি সিরি-এ শিরোপা জয় করেন। একইসঙ্গে ২০০৬-০৭ মৌসুমে জয় করেন সিরি-বি চ্যাম্পিয়নশিপ। মূলত তখন ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে এক মৌসুম জুভেন্টাসকে সিরি-বি খেলতে হয়েছিলো।
জুভেন্টাসের হয়ে কোপা ইতালিয়া ৫ বার এবং ইতালিয়ান সুপারকোপা জিতেছেন ৬ বার। জুভেন্টাসের হয়ে তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে উঠলেও এই একটি ট্রফি তিনি হাতে তুলে নিতে পারেননি। তার সারাজীবনের আক্ষেপ হয়ে থাকবে এটা।
ইতালি জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৬ ম্যাচ খেলার রেকর্ড রয়েছে তার। ১৯৯৭ সালে আজ্জুরিদের হয়ে তার অভিষেক ঘটে। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ইতালির হয়ে ৯টি বড় টুর্নামেন্টে গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে তিনি পোস্টের নিচে দাঁড়াতে পারেননি। সাইড বেঞ্চেই বসে ছিলেন।
২০০৬ বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচের মধ্যে ইতালিকে ৫ ম্যাচে কোনো গোল হজম করতে দেননি বুফন। যার ফলে সেবার বিশ্বকাপ জিতেছিলো ইতালি। সেবার ব্যালন ডি’অরে রানারআপ হয়েছিলেন। হেরেছিলেন জাতীয় দলের সতীর্থ ফ্যাবিও ক্যানাভারোর কাছে। ২০১২ ফাইনালে ইতালির অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
২০ বছর জাতীয় দলের হয়ে খেলার পর ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন তিনি। এরপর এবার অবসর নিলেন সব ধরনের ফুটবল থেকে।