শিরোনাম
লক্ষ্য ১৩১ রানের। পাকিস্তানের জন্য পথটা সহজ হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে দ্রুত ৩ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের আশা জাগিয়ে তুলে শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানরা অসাধ্য সাধনের চেষ্টা করেছে শেষ দিনেও। কিন্তু ইমাম-উল-হকের অপরাজিত ফিফটি, বাবর আজম ও সৌদ শাকিলের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনেই ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
এতে করে টানা এক বছরের জয়খরাও কাটিয়েছে পাকিস্তান।সর্বশেষ এই গলেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতেছিল তারা। কাকতালীয়ভাবে, সে টেস্টও শুরু হয়েছিল ১৬ জুলাই। এরপর টানা চারটি টেস্ট হারে বাবর আজমের দল, ড্র করেছিল পরের দুটি।
পাকিস্তানের রেকর্ড হয়েছে আরও। সব মিলিয়ে সফরকারী কোনো দল মাত্র ষষ্ঠবার গলে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করে জেতার নজির গড়লো তারা। সর্বশেষও জিতেছিল পাকিস্তানই, ২০২২ সালের টেস্টটিতে।
গলে পাকিস্তানের এটি তৃতীয় জয়, সফরকারী কোনো দল হিসেবে এ ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ম্যাচ জেতার রেকর্ড এখন আনপ্রেডিক্টেলদের।
৩ উইকেটে ৪৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল সফরকারীরা। জিততে হলে পাকিস্তানের শেষদিনে দরকার ছিল ৮৩ রান, শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেট।
ব্যক্তিগত ৬ রান নিয়ে নামা বাবর ২৪-এ গিয়ে থামেন। এরপর ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান সৌদ শাকিল। ইমাম-উল-হক অপরাজিত ফিফটি হাঁকান। ৮৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার।
জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে সরফরাজ আহমেদকে তুলে নিয়ে নিজের চতুর্থ শিকার করেন প্রভাত জয়সুরিয়া। তিনিই লঙ্কানদের জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন। তবে সরফরাজ আউট হওয়ার ঠিক পরের বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন আঘা সালমান।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৩১২ রানে অলআউট হয়েছিল। জবাবে সৌদ শাকিলের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৪৬১ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসেই ১৪৯ রানে এগিয়ে যায় বাবর আজমের দল। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৭৯তে। ফলে পাকিস্তানের সামনে দাঁড়ায় সহজ লক্ষ্য।