শিরোনাম
দায়িত্ব নেওয়ার আগেই হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রেসিডেন্ট জাকা আশরাফ। তাতেই এশিয়া কাপ নিয়ে নতুন করে জটিলতার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়েও অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
চলতি বছরের শেষ দিকে ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে বাবর আজম-শাহীন আফ্রিদিদের অংশগ্রহণ নির্ভর করছে পাকিস্তানের তিন মন্ত্রণালয়ের ওপর। এরই মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে প্রতিনিয়ত সীমান্ত সংঘাত লেগেই থাকে। দুই দেশের চরম সংঘাতপূর্ণ অবস্থার প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটের ওপর। গত ১৫ বছরের বেশি সময় আইসিসি টুর্নামেন্ট ছাড়া এ দুই দেশ মুখোমুখি হয়নি। তাই অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর কাছে বিশ্বকাপের সূচি পাঠালেও পিসিবির সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট নাজাম শেঠি আইসিসিকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, তাঁরা সূচি নিয়ে কোনো কিছুই বলতে পারছেন না।
ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ পুরোপুরি সরকারি সিদ্ধান্ত। সরকার যা নির্ধারণ করে দেবে, তাঁরা সেটাই পালন করবেন। আসলে ভারতে বিশ্বকাপে দল পাঠানো নির্ভর করছে পাকিস্তান সরকারের তিনটি মন্ত্রণালয়ের (পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও ক্রীড়া) ওপর।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাদের জাতীয় দলের অংশগ্রহণ কতটা যৌক্তিক, সেটা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে তারা। ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, কূটনীতি, ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা– এসব কিছু খতিয়ে দেখছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তোলা হয়েছিল। সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ বলেন, ‘আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার। শুধু ক্রিকেট নয়, যে কোনো খেলার সঙ্গেই রাজনীতিকে মেশানোর বিরোধী আমরা। ভারতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তানে খেলতে না আসাটা হতাশাজনক। ওয়ানডে বিশ্বকাপে আমাদের দলের অংশগ্রহণ নিয়ে এখনই মন্তব্য করা সম্ভব নয়। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ সম্পর্কিত সবকিছু খতিয়ে দেখছি আমরা। বিশেষ করে, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা। সময় মতো আমাদের মতামত পিসিবিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’