শিরোনাম
ক্রিকেট ইতিহাসে দুই ভাই একই সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলার বহু নজির আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুই ভাই পরস্পর বিরোধী দলেও থাকার নজির রয়েছে। কিন্তু দুই ভাই’ই দুই দলের অধিনায়ক এবং টস করতে নামলেন তারা দু’জন, এমন দৃশ্য ক্রিকেট বিশ্বে এর আগে কখনো ঘটেছে কি না বলা মুস্কিল।
এবার সেটাই হলো। আইপিএলে লোকেশ রাহুলের ইনজুরির কারণে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া। তার ছোট ভাই হার্দিক পান্ডিয়া গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক। তবে, দুই ভাইয়ের লড়াইয়ে জিতে গেলো ছোট ভাই। বড় ভাইয়ের লখনৌকে ৫৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থানকে আরও নিরঙ্কুশ করে নিলো ছোট ভাইয়ের দল গুজরাট টাইটান্স।
আহমেদাবাদের মোতেরায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে গুজরাট টাইটান্স। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেটে ১৭১ রানে থেমে যায় লখনৌয়ের ইনিংস।
এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচ শেষে গুজরাটের পয়েন্ট ১৬। বলা যায়, আইপিএল প্লে-অফে এক পা দিয়েই রাখলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।
২২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো সূচনা এনে দিয়েছিলেন কাইল মায়ার্স এবং কুইন্টন ডি কক। ৮.২ ওভারে ৮৮ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৩২ বলে ৪৮ রান করেন কাইল মায়ার্স। ৪১ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ডি কক। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
পরের ব্যাটাররা আর দাঁড়াতেই পারেনি গুজরাটের বোলারদের সামনে। ১১ বলে ২১ রান করেন আয়ুস বাদোনি। ১১ বলে ১১ রান করেন দিপক হুদা। অন্যদের উল্লেখ করার মত রানই ছিল না।
গুজরাটের হয়ে মোহিত শর্মা একাই নেন ৪ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি, রশিদ খান এবং নুর আহমদ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করে গুজরাট টাইটান্স। ৫১ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন শুভমান গিল। ৪৩ বলে ৮১ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। ২৫ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং ২১ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার।