শিরোনাম
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে পূর্ণশক্তির দল মাঠে নামায়নি বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়েও আসেনি ভালো সংগ্রহ। আবুধাবির টলারেন্স ওভালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৪৭ রান তুলেছিল লিটন দাসের দল। তাড়া করতে নেমে এক ওভার হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
তবে এই রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কাও বিপদে পড়েছিল। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের কাউকে দাঁড়াতে দেননি বাংলাদেশের তিন বোলার—তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান ও সৌম্য সরকার। ৮ বলে ৪ রান করা কুশল পেরেরাকে তুলে নেন তাসকিন।
স্পিনার মেহেদীর শিকার হন ১২ বলে ১৫ রান করা পাথুম নিশাঙ্কা। ১৩ রান করা দিনেশ চান্দিমালকে তুলে নেন সৌম্য। ১২ রানে ২ উইকেট নেন সৌম্য। ১টি করে উইকেট শরিফুল ইসলাম, মেহেদী ও তাসকিনের।
ব্যাটিংয়েই বেশ পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ফিফটি পাওয়া দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম আজ রান পাননি। ১৬ রান করে আউট হন অধিনায়ক লিটন। নাঈম আউট হন ১১ রান করে। দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তোলে বাংলাদেশ।
সৌম্য সরকার উইকেটে এসে রানের গতি কমতে দেননি। প্রথমে মুশফিকুর রহিম ও পরে আফিফ হোসেনের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। দুজনই আউট হয়ে যান উইকেটে থিতু হয়ে। বড় ধাক্কাটা আসে ইনিংসের ১৫তম ওভারে। সৌম্যকে ইনিংস লম্বা করতে দেননি লঙ্কান লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২৬ বল খেলে এক চার ও দুই ছক্কায় ৩৪ রান করেন সৌম্য।
নুরুল হাসান ও শামীম হোসেনকে দ্রুত রান তুলতে দেননি দুষ্মন্ত চামিরা। দুজনই আউট হন এই লঙ্কান ফাস্ট বোলারের বলে। সৌম্য ছাড়া টি–টোয়েন্টির ব্যাটিংটা দেখা গেছে শুধু মেহেদী হাসানের ব্যাট থেকেই।
এক চার ও এক ছক্কায় ১২ বলে ১৬ রান করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট চামিরার। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। পরের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। সূত্র: প্রথম আলো