শিরোনাম
জন্ম জিম্বাবুয়েতে, কিন্তু গ্যারি ব্যালান্সের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় ইংল্যান্ডে। ২০১৪ থেকে ২০১৭-চার বছর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন। পরে ফেরেন নিজের দেশ জিম্বাবুয়েতে, গায়ে চড়ান স্বদেশি জার্সিও।
ব্যালান্স কিছুদিন আগেই টেস্ট ক্রিকেটে বিরল এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। দুটি দেশের হয়ে (ইংল্যান্ড আর জিম্বাবুয়ে) তিনি সাদা পোশাকে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। দুই দেশের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার অবশেষে দিলেন অবসরের ঘোষণা। সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
ইংল্যান্ডে ক্যারিয়ারটা বর্ণময় হতে পারতো ব্যালান্সের। চার বছরে ইংলিশদের হয়ে ২৩ টেস্ট খেলে ৪টি সেঞ্চুরি করেন। খেলেন ১৬টি ওয়ানডে ম্যাচও। কিন্তু বর্ণবাদের অপরাধে জড়িয়ে তিনি ছিটকে পড়েন জাতীয় ও কাউন্টি দল থেকে।
বাধ্য হয়েই মাতৃভূমি জিম্বাবুয়েতে ফেরত আসেন ব্যালান্স। গত বছরের ডিসেম্বরে চুক্তি করেন জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলে। দেশের হয়ে ক্রিকেট মাঠে ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু মানসিক অশান্তিটা তাকে তৃপ্ত হতে দেয়নি।
ফলে হুট করেই সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। বিদায়বেলায় তিনি বলেছেন, ‘অনেক ভাবার পর আমি এই মুহূর্ত থেকেই সব ধরনের পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভেবেছিলাম জিম্বাবুয়েতে আসার পর নতুন করে ক্রিকেটের আনন্দ খুঁজে পাব। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব আমাকে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ দেওয়ার জন্য ও তাদের দলে স্বাগত জানানোর জন্য।’
কিন্তু ক্রিকেটটা আগের মতো উপভোগ করতে পারছেন না উল্লেখ করে ব্যালান্স বলেন, ‘আমি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গেছি, যেখানে পেশাদার ক্রিকেটের কঠোরতায় নিজেকে নিবেদিত করার তাড়না হারিয়ে ফেলেছি এবং খেলা চালিয়ে গেলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট এবং ক্রিকেট খেলার প্রতিও অন্যায় করা হবে। সামনের পথচলায় শুভকামনা জানাই তাদের।’
সব মিলিয়ে ২৩ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি ও ৭ ফিফটিতে ৪০.৩২ গড়ে ১ হাজার ৬৫৩ রান নিয়ে শেষ হচ্ছে ব্যালান্সের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ওয়ানডেতে ২১ ম্যাচে ৪ ফিফটিতে ২৫.২২ গড়ে তিনি করেছেন ৪৫৪ রান।