শিরোনাম
জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত-এ সমীকরণ নিয়ে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারত। সে লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে গোলশূন্যভাবে। হার এড়িয়ে দুই দলই উজ্জ্বল করেছে ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা।
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে হারিয়েছে নেপালকে। ভারত ১২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভুটানকে। দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র করায় বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট ৪ করে। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে ড্র করলেই বাংলাদেশের জন্য খুলে যাবে ফাইনালের দরজা।
বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই প্রথম টার্গেট ছিল ম্যাচ না হারা। মাঝমাঠকে প্রাধান্য দিয়েই খেলেছে তারা। সে দিক দিয়েই দুই দলই লক্ষ্যপূরণ করতে পেরেছে।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত একটু প্রধান্য নিয়ে খেলেছে। কয়েকটি সুযোগও তারা তৈরি করেছিল। ভারতীয় মেয়েদের সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক রূপনা চাকমা। জাতীয় দলে খেলা এ গোলরক্ষক দুটি ভালো সেভ করে দলকে বাঁচিয়েছেন। ৭ মিনিটে ডিফেন্সের দুর্বলতায় বল নিয়ে বাংলাদেশ বক্সে ঢুকে পড়েন সুমাতি কুমারী। গোলরক্ষক রূপনা চাকমাকে একাও পেয়েছিলেন ভারতীয় এ ফরোয়ার্ড। রূপনা পা দিয়ে দুর্দান্ত সেভ করে দলকে বাঁচিয়েছেন।
১৪ মিনিটে কর্নার থেকে সুনিতা মুন্দার হেড ঠেকিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক রূপনা চাকমা।
২৬ মিনিটে স্বপ্না রানীর শট কর্নারের মাধ্যমে বিপদমুক্ত করেন ভারতের গোলরক্ষক আনশিকা। স্বপ্নার কর্নারটি ভারতীয় গোলপাস্টের সামনে পড়লেও আশপাশে কোনো খেলোয়াড় না থাকায় সুযোগ তৈরি হয়নি বাংলাদেশের। এটাই ছিল প্রথমার্ধে ভারতের পোস্টে বাংলাদেশের প্রথম শট।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করে খেলেছে দুই দল। বাংলাদেশ আক্রমন বাড়িয়ে পরপর কয়েকটি কর্নার আদায় করে নিয়েছিল। তবে তার কোনটা থেকেই ফায়দা লুটতে পারেনি।
বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই প্রয়োজন শেষ ম্যাচে এক পয়েন্ট। বাংলাদেশ খেলবে ভুটানের বিপক্ষে এবং নেপাল খেলবে ভারতের বিপক্ষে।