শিরোনাম
সিডনি টেস্টে নিষ্প্রাণ ড্র’ই হলো অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে। স্লো ব্যাটিংয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছিলো দুই দলই। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলো অন করালেও জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয়েছে অমিমাংসিতভাবেই।
উসমান খাজা অপরাজিত ছিলেন ১৯৫ রানে। আর ৫টি রান করলে ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে যেতো তার। তবুও কেন তাকে সুযোগ দেয়া হলো না? তা নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেছে। ৪ উইকেটে ৪৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করার পর যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার সামনে।
২৫৫ রানে অলআউট হওয়ার পর ফলোঅনে পড়েছিলো। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৫ রান কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার ২৫৫ রান- এই দুটি ইনিংস খেলতেই সিডনি টেস্টের প্রায় চারটি দিন পার হয়ে যায়। ফলোঅনে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় ৪২ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করার পর নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায়।
প্রথম ইনিংসে ৪৭৫ রান তুলতেই ১৩১ ওভার ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া। ৩.৬২ হারে রান তোলে তারা। ১৯৫ রান করতে উসমান খাজা একাই খেলেছিলেন ৩৬৮ বল। ১০৪ রান করতে স্টিভেন স্মিথ খেলেছিলেন ১৯২ বল।
৪ উইকেটে ৪৭৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করার পর ব্যাট করতে নেমে ২৫৫ রান করে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৮ ওভার খেলে তারা। ২.৩৬ হারে রান তুলতে সক্ষম হয় প্রোটিয়ারা। সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন কেশভ মাহারাজ এবং ৪৭ রান করেন সিমন হারমার। জস হ্যাজলউড নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নেন প্যাট কামিন্স এবং ২ উইকেট নেন নাথান লায়ন।
২২০ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅনে পড়ে আবারও ব্যাট করতে নামে প্রোটিয়ারা। ডিন এলগার আর হেনরিক্স ক্লাসেনের উইকেট হারালেও ইনিংসে বড় বিপর্যয়ে পড়েনি প্রোটিয়ারা। ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন সারেল এরউই। ৩৫ রান করেন ক্লাসেন।
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ আগেই নিজেদের করে রেখেছিলো অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংস ও ১৮২ রানের ব্যবধানে জিতেছিলো প্যাট কামিন্সের দল।