শিরোনাম
বছর শুরু হয়েছিল চমক জাগানো সাফল্যে, মাউন্ট মুঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট হারানোর মধ্য দিয়ে। আর এখন বছরের শেষ টেস্টে ক্রিকেটের এক নম্বর দল ভারতের সাথে জয়ের হাতছানি।
ঢাকা টেস্টে জয়ের সুবাস পাচ্ছে সাকিবের দল। জিততে আর মাত্র ৬টি উইকেট চাই বাংলাদেশের। আর ১০০ রানের মধ্যে বাকি ৬ ব্যাটারকে আউট করতে পারলেই ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।
শনিবার তৃতীয় দিন শেষ ঘণ্টায় সাকিব ও মিরাজের বল লাটিমের মত ঘুরছিল। ওই বিষাক্ত স্পিন ঘূর্ণির মুখে ১৪৫ রানের ছোট লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমেও চরম বিপাকে লোকেশ রাহুলের দল।
শুভমান গিল (৭), লোকেশ রাহুল (২), চেতেশ্বর পূজারা (৬) আর বিরাট কোহলির (১) মত অভিজ্ঞ ও সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাটারও স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেননি। অধিনায়ক সাকিব ও মিরাজের স্পিন ঘূর্ণির মুখে চারজনই অসহায়ের মত আউট হয়ে সাজঘরে।
দিন শেষে ভারতের স্কোর ৪ উইকেটে ৪৫। এরকম অবস্থায় বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা কতটা? টাইগার মিডল অর্ডার লিটন দাস মনে করেন, অবশ্যই জেতা সম্ভব।
লিটনের আশাবাদী উচ্চারণ, ‘কাল রোববার সকাল সকাল যদি এক-দুইটা উইকেট নিতে পারি, তাহলে অবশ্যই জেতা সম্ভব।’
কিন্তু ভারতের তো এখনও ৬ উইকেট বাকি। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের মধ্যে রিশাভ পান্ত আর শ্রেয়াস আইয়ার আছেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনও ভালো ব্যাটিং করেন। তারপরও কি ভারতকে হারানো সম্ভব ?
লিটন দাসের জবাব, ‘হাতে উইকেট না থাকলে অনেক কিছু চাইলেই করতে পারবে না। চতুর্থ দিন সকালে খেলতে এসেই যদি ২ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত, আমরা যদি উইকেট নিয়ে নিতে পারি, তবে অবশ্যই সম্ভাবনা থাকবে। জানি এরপর রিশাভ আছে, আইয়ার আছে। অবশ্যই তারা ভালো খেলোয়াড়, তবে তারাও পরিস্থিতির কারণে চাপে থাকবে।’
লিটনের দাবি, অবশ্যই, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ এগিয়ে। ভারতীয়রা চাপে আছে। লিটনের আশা, ‘আমরা ভালো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামলে তারা ভেঙে পড়বে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
বাংলাদেশ ভারতকে ২০০ থেকে ২২০ রানের টার্গেট দিতে চেয়েছিল। শেরে বাংলার এ উইকেটে সেটাই চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য হতো, এমনটাই মনে করেন লিটন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি মিরপুরে চতুর্থ ইনিংস সবসময়ই কঠিন। সব ব্যাটারের জন্যই। আমরা ২০০-২২০ লক্ষ্য দিতে চেয়েছিলাম। যে স্কোর দাঁড় করেছি, এখনও আরও ১০০ রান দরকার। অনেক কঠিন কিন্তু। এখন যে অবস্থা, এই লক্ষ্য জয়ের জন্য কঠিন হবে তাদের জন্য। আমাদের জিততে হবে। পরিকল্পনা এটুকুই।’