শিরোনাম
গতকাল ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল জাপান। আর আজকে দক্ষিণ কোরিয়া। এবার ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন রোনালদোর পর্তুগালকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট রাউন্ডে জায়গা করে নিল এশিয়ার আরেক জায়ান্ট।
কাতার বিশ্বকাপকে সবাই মনে রাখতে বাধ্য হবে এবারের জায়ান্ট দেশগুলো বধের কারণে। অন্য কোন বিশ্বকাপে বড় দলগুলোকে এভাবে ভুগতে দেখা যায়নি মাঝারি মানের দলের বিপক্ষে। জার্মানি, বেলজিয়াম ইতোমধ্যে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। আর্জেন্টিনার মত দল সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে গিয়েছে। এবার রোনালদোর পর্তুগালকে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলো দক্ষিণ কোরিয়া।
ম্যাচের শুরুতে দাপট দেখাতে থাকে পর্তুগাল। গোল পেতেও বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় ডান পাশ থেকে ডিয়েগো দালোতের বাড়ানো ক্রসে দারুণ এক গোল করে পর্তুগালকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন রিকার্ডো হোর্তা। এবারের বিশ্বকাপে তিনি পর্তুগালের ৩য় খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচেই গোল করলেন।
এক গোল খেয়েই গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া। যার ফল হিসেবে তারা গোলও পেয়ে যায়। ২৫ মিনিটে কর্নার থেকে বল রোনালদোর কাঁধে লেগে কিম ইয়ং গিয়োনের পায়ে আসলে দারুণ এক শটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। ৩৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় পর্তুগালও। কিন্তু দালোতের শট রুখে দেন কোরিয়ার গোলরক্ষক। ম্যাচে আর কোন গোল না হলে ১-১ গোলে সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দুই দল। ম্যাচের ৫২ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু শট মারলেও লাইন্সম্যান তার আগেই অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেন। পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস তার বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখতে রোনালদোকে উঠিয়ে নেন।
ম্যাচ যখন সমতায় থেকেই অতিরিক্ত মিনিটে গড়ালো ঠিক তখনই যেন জ্বলে উঠলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সেরা ফুটবল সং হিয়েন মিন। ডি বক্সের বাইরে থেকে পর্তুগালের দুই তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নাটমেগ পাস বাড়িয়ে দেন ডিবক্সের ভেতর থাকা হং হি চ্যানের কাছে। উলভসের এই তারকা ঠান্ডা মাথায় পর্তুগিজ গোলরক্ষক ডিয়েগো কস্তাকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন। এ যেন ঠিক ২০১৮ বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে জয়ের মত। সেবারও তারা শেষ মিনিটে জার্মানিকে হারিয়েছিল। এই জয়ে উরুগুয়ের সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে গোল গড়ে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় হয়ে নক আউট রাউন্ডে জায়গা করে নেয় এশিয়ান জায়ান্টরা।