শিরোনাম
বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। শনিবার কাতারের আল জানুব স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপে ম্যাচের প্রথমার্ধে দেওয়া গোলে তিউনিসিয়াকে হারিয়ে সেই আশা বাঁচিয়ে রাখলো তারা।
২৩ মিনিটে গোল করেছেন মিচেল ডিউক। দ্বিতীয়ার্ধে তিউনিসিয়া আপ্রাণ চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করার খেসারত হিসেবে ম্যাচ হেরেছে আফ্রিকার দেশটি।
তিউনিশিয়া সমর্থকদের জন্য আপসোস হয়ে থাকবে ম্যাচটি। ডেনমার্কের বিপক্ষে ড্র করা দলটি এই ম্যাচ থেকেও একটি পয়েন্ট পেতে পারতো। প্রথমার্ধে অপেক্ষাকৃত একটু ভালো খেলে অস্ট্রেলিয়া গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে প্রাধান্য ছিল তিউনিশিয়ার। গোটা চারেক ভালা সুযোগও তৈরি করেছিল তারা। দুর্ভাগ্য আফ্রিকার দেশটির- একটি সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
ম্যাচের সময় যতই গড়িয়েছে ততই আক্রমণ বাড়িয়েছে তিউনিশিয়া। বল পজেশন প্রায় ৬০ ভাগ ছিল তাদের। অস্ট্রেলিয়া রক্ষণ সামলে লিড ধরে রেখেছে। মাঝে মাঝে প্রতি আক্রমণেও গিয়েছে তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি তারা।
৭১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সহজতম সুযোগটি পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বাম প্রান্ত থেকে জেমি ম্যাকরালেন ক্রস নিয়েছিলেন ম্যাথু লেকিকে উদ্দেশ্য করে। লেকির সামনে দিয়েই বলটি চলে যায়; কিন্তু তিনি বল পায়ে সংযোগ ঘটাতে পারেননি।
এরপর আক্রমণ বলতে ছিল তিউনিশিয়ার। চার-পাঁচবার তারা অস্ট্রেলিয়ার গোলমুখে হানা দিয়েছিল। এর মধ্যে ৭২ মিনিটে ইউসুফ মাসাকানির শট রুখে দিয়েছেন অসি গোলরক্ষক। ৭৪ মিনিটে তারই হেড চলে গেছে ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
৮৬ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে ইয়াসিনের ডান পায়ের শট আটকিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাট রায়ান। ওয়াজদি ক্যাচিরদার ক্রস থেকে ওয়াহবি খাজরির শট ধরে ফেলেন অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাট রায়ান।
তিউনিশিয়া সমতায় ফেরার শেষ সুযোগটি পেয়েছিল ইনজুরি সময়ে। অস্ট্রেলিয়ার গোলপোস্টের সামনে জটলা তৈরি হয়েছিল। এর পা, ওর পা থেকে বল বেশ কিছু সময় ছিল পোস্টের সামনে। তিউনিশিয়ার দুই খেলোয়াড় ওয়াহবি খাজরি ও ফেরজানি সাসি সেখানে ছিলেন। কিন্তু কেউ কাজের কাজটি করতে পারেননি।
প্রথমার্ধে দুই দলই খেলেছে সমান তালে। বল পজেশনে কিছুটা এগিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তারা প্রথম সুযোগটি কাজে লাগিয়েই গোল আদায় করে লিড নিয়েছে ম্যাচে। ২৩ মিনিটে বাম দিক থেকে গুডউইনের ক্রসে দারুণ হেডে তিউনিশিয়ার গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছেন ডিউক।
ব্যবধান দ্বিগুণ করেই বিরতিতে যেতে পারতো অস্ট্রেলিয়া। ৪৪ মিনিটে একই কম্বিনেশনে সুযোগটি পেয়েছিল তারা। গুডউইনের ক্রসে এবারও হেড নিয়েছিলেন ডিউক; কিন্তু তিউনিশিয়ার গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিয়েছেন বল।
তিউনিশিয়ার সামনেও সুযোগ এসেছিল সমতায় ফিরে বিরতিতে যাওয়ার। ইনজুরি সময়ে দারুণ একটি প্রচেষ্টা ছিল ইউসুফ মাসাকানির। কিন্তু বক্সের মাথা থেকে তার নেওয়া গড়ানো শট বাইরে চলে যায় দ্বিতীয় পোস্ট ঘেঁষে।
এই জয়ে দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোতে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখলো অস্ট্রেলিয়া। অন্য দিকে দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট তিউনিশিয়ার। তিউনিশিয়া শেষ ম্যাচ খেলবে ফ্রান্সের বিপক্ষে এবং অস্ট্রেলিয়া খেলবে ডেনমার্কের বিপক্ষে।