অফসাইড নির্ধারণে কাতারে ব্যবহার হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি

ফানাম নিউজ
  ১৯ নভেম্বর ২০২২, ২২:২১

রেফারির সিদ্ধান্তকে আরও নিখুঁত করে তোলার জন্য ফুটবলে শুরু হয়েছিলো প্রযুক্তির ব্যবহার। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) নামক এই প্রযুক্তিকে এবার আরও নিখুঁত করার উদ্যোগ নেয় ফিফা। যার বাস্তবায়ন দেখা যাবে কাতার বিশ্বকাপে।

ফিফা বলছে, আগের যে কোনোবারের তুলনায় এবার সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বকাপে। যে কারণে এবারের সিদ্ধান্তগুলো আরও বেশি নিখুঁত হবে বলেই জানিয়েছেন, ফিফার সংশ্লিষ্ট কমিটির চেয়ারম্যান, সাবেক এলিট রেফারি পিয়ারলুইজি কালিনা।

থ্রি-ডি রেন্ডারিং এবং সেমি অটোমেটিক অফসাইড টেকনোলজি

এবারের বিশ্বকাপে যে উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, তার নাম দেয়া হয়েছে সেমি অটোমেটিক অফসাইড টেকনোলজি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিফিকাল্ট অফসাইডের সিদ্ধান্তগুলো আগের যে কোনোবারের চেয়ে নিখুঁত এবং দ্রুততার সঙ্গে দিতে পারবে। একই সঙ্গে থ্রি-ডি রেন্ডারিং সিস্টেমের মাধ্যমে মুহুর্তের মধ্যে স্টেডিয়ামে অবস্থিত জায়ান্ট স্ক্রিন এবং ঘরে বসে টিভিতে দর্শকরা ত্রি-মাত্রিক ভিডিও দেখতে পারবে।

দোহায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিয়ারলুইজি কালিনা বলেন, ‘এই প্রযুক্তি আমাদেরকে অফসাইডের ব্যাপারে অনেক দ্রুত এবং অনেক নিখুঁতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা বিষয় পরিস্কার করতে চাই। দ্রুততার অর্থ এই নয় যে, আমরা তাৎক্ষণিত অফসাইডের সিদ্ধান্তগুলো পর্যবেক্ষণ করবো। এটা হবে, আগের চেয়ে অনেক কম সময়ে। তবে, এক সেন্ডের মধ্যে কিংবা একেবারে এই মুহূর্তে- এমনটা নয়।’

রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত

তবে, যতই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হোক, মাঠে রেফারির সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। পিয়ারলুইজি কালিনা এ নিয়ে বলেন, ‘আমি একটা বিষয় জানিয়ে দিতে চাই যে, মাঠে রেফারির সিদ্ধান্তই হবে ফাইনাল। এই ক্ষমতা চূড়ান্তভাবে ভোগ করবে ম্যাচের কর্মকর্তারা। ভিএআর কিংবা অন্য যে কোনো প্রযুক্তি- সব ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে ম্যাচের রেফরির ওপর।’

ফিফা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি স্টেডিয়ামে ১২টি ক্যামেরা থাকবে। প্রতিটি ক্যামেরা প্রতিটি খেলোয়াড়ের ২৯টি পয়েন্টকে নির্দেশ করে পরিচালিত হবে। শুধু তাই নয়, আর রিহলা নামে যে বল ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বকাপে, সেটাতেই ব্যবহার করা হয়েছে উচ্চ প্রযুক্তির। যে কারণে বলটাই খেলার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বোচ্চভাবে নিশ্চিত করবে।

ফিফার টেকনোলজি অ্যান্ড ইনভেশন ডিরেক্টর জোহানেস হলজমুলার বলেন, ‘এটাই এখনও পর্যন্ত অফসাইডকে নিখুঁত করার সর্বাধুনিক টেকনোলজি। আমরা এর ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, এখান থেকে আসা আউটকাম খুবই ইতিবাচক।’

সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং এর থেকে সুফল লাভ করার জন্য ফিফার পক্ষ থেকে বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করা রেফারিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।