শিরোনাম
কম্বোডিয়া ও নেপালের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে জাতীয় ফুটবল দল যখন দেশের বাইরে তখন নেপালের কাঠমান্ডুতে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে সাবিনা-স্বপ্নারা।
সাবিনাদের ইতিহাসগড়া মাঠে এক সপ্তাহ পর নেপালের বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলে ৩-১ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল। নারী ফুটবলাররা পারলেও পুরুষরা পারলো না- চারিদিকে চলে সমালাচনার ঝড়।
দেশে সাবিনাদের নিয়ে মানুষের উল্লাস, তাদেরকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণার খবর জামাল ভূঁইয়ার বিদেশে থেকেই জানতে পারে। তাই তো নিজেরাও নেপাল ম্যাচের আগে বাফুফের কাছে বোনাস ঘোষণার চাপ দিকে থাকে।
দলের সঙ্গে থাকা এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জিতে নেপাল যাওয়ার পর ম্যাচের দিন পর্যন্ত 'জিতলে কি বোনাস দেবে' সেটা আগে ঘোষণার জন্য চাপ দিতে থাকেন খেলোয়াড়রা।
টিম ম্যানেজমেন্ট চাপে পড়ে বারবার ঢাকায় ফোন করে বিষয়টি জানান বাফুফের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। কিন্তু ঢাকা থেকে খেলোয়াড়দের হাস্যকর দাবিতে কান দেয়নি বাফুফের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শুধু এতটুকুই বলা হয়েছিল 'আগে জিতুক।'
জাতীয় দল নেপালকে হারানোর মতো ম্যাচ খেলতে পারেননি। এই ম্যাচের ফলাফল বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনকে হতাশ করেছে। প্রতিক্রিয়ায় দেশের ফুটবলের অভিভাবক বলেছেন, আমি খুশি নই দলের পারফমেন্সে। ম্যাচ জিততে যে ইচ্ছা শক্তি দরকার তাতে ঘাটতি ছিল ফুটবলারদের।
এই ম্যাচের পর বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন তার সহকর্মীদের এটাও বলেছেন যে, দলবদল সামনে রেখে জাতীয় দলের ম্যাচ না রাখাই ভালো। কারণ, অনেকে মনে করেন, সামনে ফুটবলাদের দলবদল। এ সময় মাঠে তারা কোন প্রকার ঝুঁকি নিয়ে খেলেননি।