শিরোনাম
আগামী বছরের শুরুতে প্রায় একই সময় কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর বসবে। আর তাই আসন্ন বিপিএলে বিদেশি তারকা ক্রিকেটার কম পাওয়া যাবে। তার মধ্যে আবার দুইটি বড় কর্পোরেট হাউজ বেক্সিমকো ও জেমকন গ্রুপ এবার দল নেয়নি।
এখন আবার শোনা যাচ্ছে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও বিপিএল থেকে সরে দাঁড়াতে পারে। সত্যিই কি তাই? এবারের বিপিএলে অংশ নিয়ে দ্বিধায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স? বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, তিনি এ সম্পর্কে কিছু জানেন না।
সম্প্রতি শেরে বাংলায় বিসিবি পরিচালক পর্ষদের সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বিসিবি বিগ বস জানান, 'আমি জানি কুমিল্লা খেলবে। তারা খেলবে না- এমন খবর আমার জানা নেই। ১১টা আবেদনপত্র পাওয়া গিয়েছিল, সেখান থেকে ৭টি আবেদনপত্র চূড়ান্তভাবে গৃহিত হয়েছে। সেখানে তো কুমিল্লা আছে। কই আমার কাছে কেউ বলেনি কুমিল্লা খেলবে না।'
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, কুমিল্লার ফ্র্যাঞ্চাইজিরা টাকার পরিমাণ নিয়ে খানিক আপত্তি তুলেছেন। তবে এই কারণে তাদের খেলা নিয়ে কোনো সংশয়ের কথা জানাননি মল্লিক।
সপ্তম বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি একটি বড় তথ্য দিয়েছেন। তার কথায় পরিষ্কার, সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় পূর্বাচলের শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। এ তথ্য দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন ও সিনিয়র পরিচালক জালাল ইউনুস।
তবে তারা কেউই দিন তারিখ নির্দিষ্ট করে বলেননি। তবে তাদের কথায় পরিষ্কার ফুটে উঠেছে যে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি নাগাদ শেষ হাসিনা স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরুর সম্ভাবনা খুব বেশি।
তারা যোগ করেন, যারা কাজ করবে আজ তাদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে খুব শিগগির চুক্তি হবে। চুক্তি হওয়ার পর থেকে ৬ মাসের মধ্যে তাদের কাজ শুরু করতে হবে। তারা চেষ্টা করছে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করার। সাইনিং হওয়ার পর একটা টাইম ফ্রেম আছে কাজ শুরু করার।
আজকের বোর্ড সভায় আলোচ্য সূচির বাইরে আরও একটি বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। বিসিবির সাবেক কর্তা স্থপতি মোবাশ্বের প্রায়ই বিভিন্ন টক শো‘তে বোর্ডের কর্মকান্ডের সমালোচনা করেন। ব্যক্তিগতভাবে বোর্ড সভাপতিকেও দায়ী করে নানান কথা বলেন।
নাজমুল হাসান পাপন আজ তা নিয়েও সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন। তিনি বলেন, উনি অবিরাম বলে যান আমি নাকি দল নিয়ে খবরদারি করি। একাদশ সাজানোর সময় হস্তক্ষেপ করি। আমি তার তীব্র বিরোধিতা করছি। আমি তাকে বলেছি আমি কিছুই জানি না। হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর থেকেই আমি দল নিয়ে কোন কথা বলি না। তারপরও ঘুরে ফিরে কিছু হলে শুরু করে দল নির্বাচন নিয়ে।
বিসিবি সভাপতির প্রশ্ন, কারও যদি তারপরও সন্দেহ থাকে, তাহলে তারা তিন ফরম্যাটের অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে দেখুক। আমাদের তিন জন অধিনায়ক আছে। কোনোদিন তাদের কোনো একটা দলে আমি কাউকে ঢোকানোর চেষ্টা করেছি কি না?