শিরোনাম
বড় কোনো লক্ষ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই সালমা খাতুনরা যখন বোলিংয়ে নামলেন, শঙ্কার মেঘ তখন উঁকি দিচ্ছিল। তীরে এসে তরী ডুবল না তো! তবে নাহিদা আক্তাররা তা হতে দেননি। আঁটোসাটো বোলিংয়ে বেধে রাখেন থাইল্যান্ডকে। তাতে শেষ ওভারে গিয়ে আর পেরে উঠলনা তারা। ১১ রানের জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করলো টাইগ্রেসরা।
শুক্রবার রাতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সেমিফাইনালে আগে ব্যাট করে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৩ রান সংগ্রহ করে লাল-সবুজরা। জবাবে বাংলাদেশের তিন স্পিনত্রয়ীর ঘূর্ণি জাদুতে ৬ উইকেটে ১০২ রানে থামে থাইল্যান্ড। ফলে ১১ রানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিগার সুলতানার দল।
মাত্র ১১৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে থাইল্যান্ড শুরুতেই হোচট খায় থাইল্যান্ড। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বসে ১৩ রানেই। সেখান থেকে দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন নাথাকান চনথাম। কিন্তু তার ৬৪ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছ হারতে হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী বাছাইপর্বের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাওয়া বিশ্বকাপ খেলার যোগত্য অর্জন করবে। সে হিসেবে বাংলাদেশ দলের এখন বিশ্বকাপ নিশ্চিত। ইতোমধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াসহ ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২২ রান। কিন্তু অভিজ্ঞ সালমার ওভারে মাত্র ১০ রান নিতে পারে থাইল্যান্ডের ব্যাটাররা। শেষ দুই বলে কোন রান তো নিতেই পারেননি, উল্টো দুই উইকেট হারিয়েছে। নাথাকান ৫১ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৪ রান করে সালমার শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সালমা খাতুন ১৮ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। সানজিদা আক্তার মেঘলা দুটি ও নাহিদা আক্তার নেন একটি উইকেট।
এর আগে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায়। ওপেনিংয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়লেও চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ওপেনার ফারজানা হক ১৭ বলে ১১ রান করে রান আউট হন। ৫২ রানের মাথায় মুর্শিদা ফেরেন ৩৫ বলে ২ চারে ২৬ রান করে। এরপর দলীয় ৬৪ রানে অধিনায়ক নিগার সুলতানা ১৭ রানে সাজঘরে ফেরেন। শেষ দিকে রুমানার ২৪ বলে ২৮ ও রিতু মনির ১০ বলে ১৭ রানে ১১৩ রানের সংগ্রহে নিয়ে যায়। থাইল্যান্ডের রোসেনান কানোহ, ফানিতা মায়া ও অন্নিচা কামচম্পু ১টি করে উইকেট নেন।