শিরোনাম
ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। ম্যাচের প্রথমার্ধে করা একমাত্র গোলে এ বিজয় ছিনিয়ে আনে লাল-সবুজরা। ১-০ গোলে কম্বোডিয়াকে হারায় তারা। রাকিবের করা গোলটিই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে।
নেপালে নারী সাফে শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাস কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশের ফুটবলে আরেক শুভ সংবাদ দিলো পুরুষরা।
প্রীতি ম্যাচের শুরু থেকে জামালরা ফুটবল খেলতে থাকে অতি সাবধানে। খেলার ১৪ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪-১-৪-১ ছকে রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাবার চেষ্টা করে তারা। অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে চলে যায় বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো-ইন থেকে জামাল ভূঁইয়ার প্লেসিং।
ম্যাচের ২৩ মিনিট। মোরোদোক টেকো ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে এরই মধ্যে জমে ওঠে। মতিন মিয়ার পাস থেকে ডান পায়ের শটে কম্বোডিয়ার গোলরক্ষককে অবশেষে ফাঁকি দিতে সক্ষম হয় রাকিব। অথচ এর আগে হলুদ কার্ড পান গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। লিড নেওয়ার তিন মিনিট পর ঝুঁকি নিয়ে তিনি বাংলাদেশকে দারুণ সেভে গোল খাওয়া থেকে বাঁচান। বক্সের প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে সিন কাকাডার ডান পায়ের বুলেট গতিতে এ শটটি খেলেন।
বিরতি থেকে ফিরে একাদশে কয়েকটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। রিমন হোসেন-সাজ্জাদ হোসেনরা মাঠে নেমে খারাপ খেলেনি। সুযোগ বুঝে আক্রমণেও গেছে অভিষেক হওয়া মিডফিল্ডার সোহেল রানারাও। কম্বোডিয়া কয়েকবার জিকোর পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষে সফল হয়নি তারা।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোলের দেখা না পাওয়ায় ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের দল।