শিরোনাম
লিজেন্ডসদের সামনে সুযোগ এসেছিল কার্ডিফের স্মৃতি রোমন্থন করার। তবে তীরে এসে তরী ডুবিয়ে ভক্তদের অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন তারা। রবিবার রাতে অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের নিয়ে চলতি রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে অস্ট্রেলিয়া কোণঠাসা করেও শেষ ওভারের এলোমেলো বোলিংয়ে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
ইন্দোরের হলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ লিজেন্ডস। জবাবে ৭ উইকেট হারালেও ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া লিজেন্ডস। ফলে পরপর তিন ম্যাচ পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ।
১৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশের দুই পেসার মোহাম্মদ শরীফ ও আবুল হোসেন রাজুর বিপক্ষে শুরু থেকে সহজেই রান তুলছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তিন স্পিনার অলক কাপালি, ইলিয়াস সানি ও আব্দুর রাজ্জাক রানের চাকা আটকে রাখেন সুনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে।
ইলিয়াস সানি ৪ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট, আব্দুর রাজ্জাক ২৬ রানে নেন ২ উইকেট। কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দেন কাপালি। এ তিনজনের ১২ ওভারে মাত্র ৪৬ রান তুলতে ৬ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
কিন্তু শরীফ ও রাজুর করা সাত ওভারেই ৯৫ রান তুলে নিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় অসিরা। অধিনায়ক শরীফ ৩ ওভারে দেন ৪০ রান। তবু তার করা ১৯তম ওভারে খরচ হয় মাত্র ৫ রান। ফলে শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ২১ রানের। রাজুর হাতে বল তুলে দেন শরীফ।
সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান ব্র্যাড হ্যাডিন। পরের বলে নোসহ আরও ২ রান দেন রাজু। ফ্রি হিট বলে হ্যাডিন কিছু করতে পারেননি। তাই শেষ তিন বলে বাকি থাকে ১২ রান। টানা তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ এক জয় এনে দেন ৫৮ রানের ইনিংস খেলা হ্যাডিন।
এর আগে বাংলাদেশের ১৫৮ রানে পৌঁছার বড় কৃতিত্ব অস্ট্রেলিয়ার লাইনবিহীন বোলিং। পুরো ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৯ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। জন হ্যাস্টিংস নিজের প্রথম ওভার করেন ১৫ বলে, পরের ওভার করেন ১১ বলে। তার দুই ওভারেই আসে ৩৯ রান।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ইলিয়াস সানি। বাংলাদেশ জিতলে নিশ্চিতভাবেই তার হাতে উঠতো ম্যাচসেরার পুরস্কার। এছাড়া নাজমুস সাদাত ২০, অলক কাপালি ২০, শরীফ ১৪ ও ডলার মাহমুদ করেছেন ১৭ রান।