সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন রুবেল

ফানাম নিউজ
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:০৬

প্রথমে তামিম ইকবাল, তারপর মুশফিকুর রহিম। দুজনেই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে। সিনিয়রদের পথ অনুসরণ করলেন পেসার রুবেল হোসেনও। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন এই ক্রিকেটার।

সোমবার নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। ফলে অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় লিগ থেকে লাল বলে আর থাকছেন না এই পেসার। এমনটা জানিয়ে বিসিবিকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। 

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আসসালামু আলাইকুম আমি একটা বিষয় একটু জানাতে চাই! আজকে বিসিবিতে অফিশিয়ালি চিঠি দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত  নিলাম....

বাংলাদেশ জাতীয় দলের পাইপলাইন শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে লংগার ভার্সন টুর্নামেন্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমি মনে করি এই টুর্নামেন্টগুলোতে তরুণ পেসাররা যত বেশি সুযোগ পাবে, আমাদের পাইপলাইন তত মজবুত হবে। তাই তরুণ ক্রিকেটারদেরকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বাংলাদেশের ২৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। যা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম অর্জন। আমি বিশ্বাস করি, লাল বলের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের এই পথচলায় আমাকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আপনাদের পাশে পাবো।

টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েছি। তবে, ওয়ানডে এবং টি২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে আমার আরো কিছু দেয়ার মত সামর্থ্য আছে। তাই ডিপিএল, বিপিএলসহ অন্যান্য সাদা বলের টুর্নামেন্টে আমি নিয়মিত খেলা চালিয়ে যাবো। আমার জন্য দোয়া করবেন। সাদা বলের বাকি জীবনে আপনাদের যেন রঙিন স্বপ্ন উপহার দিতে পারি।’

২০০৯ সালে কিংসটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল রুবেলের। সবশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২০ সালে পাকিস্তান সফরে। সেই থেকে সাদা পোশাকে আর বিবেচনা করা হয়নি এ পেসারকে।

২০২১ নিউজিল্যান্ড সফরে সংক্ষিপ্ত সিরিজের পর আর জাতীয় দলে রুবেলকে নিয়ে ভাবা হয়নি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অতিরিক্ত হিসেবে থাকলেও এরপর দল থেকে ছিটকে গেছেন বহুদূর। বর্তমানে জাতীয় দলের পেস বোলারদের ভিড়ে রুবেল হোসেনের নামটা আর উচ্চারিত হয় না। তাই নিজে থেকেই সরে যাওয়ার পথ বেছে নিলেন এ পেসার। ক্যারিয়ারে মাত্র ২৭ টেস্টে ৭৬ গড়ে নিয়েছেন মাত্র ৩৬ উইকেট। ৫ উইকেট নিয়েছেন একবার। ব্যাট হাতে করেছেন ২৬৫ রান। আছে ৪৫ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস। 

এছাড়া ১০৪ ওয়ানডেতে ১২৯ উইকেট নিয়েছেন। একবার ৫ ও সাতবার ৪ উইকেট নিয়েছেন। আর ২৮ টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার ২৮ উইকেট।