শিরোনাম
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ভারতে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এমন হয়ে গেল যে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপটা সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নিতে বাধ্য হলো আইসিসি। আয়োজনের স্বত্বটা থাকলেও এতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আর্থিক ক্ষতি যথেষ্টই। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভবিষ্যতে প্রায় সব আইসিসি প্রতিযোগিতাই ভারত পেতে চাচ্ছে। সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু করে দিয়েছে বিসিসিআই।
গত মার্চ-এপ্রিল থেকে ভারতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ভয়াবহ চেহারা নিয়েছিল। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কারণে সেখানে মৃত্যুর হারও ছিল অনেক বেশি। সে কারণে এপ্রিলে শুরু হওয়া আইপিএল মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই স্থগিত হয়ে যায়। করোনার কারণে আইপিএলের বিদেশি ক্রিকেটাররাও ভারতকে আর নিরাপদ ভাবছিলেন না। আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়ে আইসিসি। গত জুনে ভারতের হাতে স্বত্ব রেখেই আয়োজনটি সরিয়ে নেওয়া হয় আরব আমিরাত ও ওমানে। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে আমিরাত ও ওমানে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ১৬ দলের এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল ১৪ নভেম্বর।
এখন আয়োজন সরে যাওয়াটায় আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতি রেখেই যাচ্ছে ভারতের কাঁধে। সেটি কতটা পুষিয়ে নেওয়া যায়, চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে তা নিয়েই। বিসিসিআই চাচ্ছে, ২০২৩ সালের পর কমপক্ষে তিনটি আইসিসি প্রতিযোগিতা (ওয়ানডে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) ভারতে আয়োজনে আইসিসিকে রাজি করাতে। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেরও আয়োজক ভারত।
এ ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের একজন কর্তা ভারতের একটি ইংরেজি দৈনিককে বলেছেন, ‘আমরা ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ভারতে আরও বেশি করে আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা ভাবছি। সে লক্ষ্যে আইসিসির কাছে প্রস্তাব দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। আমরা আশাবাদী ভবিষ্যতে একাধিক আইসিসি প্রতিযোগিতা আমরা ভারতে আনতে পারব।’
২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ছিল ভারত। বাকি দুই আয়োজক ছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ২০১৬ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একক আয়োজক হয়েছিল ভারত। এর আগে ১৯৯৬ ও ১৯৮৭ সালেও ওয়ানডে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ছিল ভারত। ’৯৬-তে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল ভারত। তবে’৮৭-তে ভারতের সঙ্গী ছিল কেবল পাকিস্তানই।
২০০৬ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক হয়েছিল ভারত। সূত্র: প্রথম আলো