শিরোনাম
পাকিস্তানের প্রতিশোধ নাকি শ্রীলঙ্কার শিরোপা জয়। এ নিয়ে সমর্থকদের জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। আজ রাত ৮টায় দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ সালের পর ফের এশিয়া কাপের ফাইনালে মোকাবিলা করছে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান। শুক্রবার সুপার ফোরে দেখা হয়েছিল দুদলের। ফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সেল’ ম্যাচে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে দাসুন শানাকা বাহিনী।
এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাবল প্রতিশোধের পালা পাকিস্তানের। কারণ ২০১৪ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের ফাইনালে লঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান। এবারের এশিয়া কাপ হবার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে। কিন্তু গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির কারণে শেষমেষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়া হয় এশিয়া কাপের আসর। তবে এশিয়া কাপের আয়োজক থাকে শ্রীলঙ্কাই। তাই এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে চান লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা।
এশিয়ার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ। আর সেই কাপের ফাইনাল ম্যাচে আজ মাঠের আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকছেন বাংলাদেশের আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল। এর আগে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন মুকুল। তিনি এখন পর্যন্ত ২৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। তার মধ্যে ১৮ ম্যাচে ছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার। আর ওয়ানডে ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন ১৭ বার। ফাইনাল ম্যাচে দায়িত্ব পালন সর্ম্পকে মুকুল বলেন, রোমাঞ্চিত অবশ্যই, আসলে চাপ তেমন নেই। বলা যায় চাপটা আমি নিচ্ছি না, বরং বড় এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করছি। কারণ বাংলাদেশের আম্পায়ারদের জন্য এমন সুযোগ কখনো এর আগে এসেছে কিনা আমি জানি না। এমন বড় মঞ্চের ফাইনালে যদি আমি ভালো করতে পারি তাহলে পরবর্তীতে আমাদের দেশের আম্পায়াদের ভবিষ্যতে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে। এটাই আপাতত আমার কাছে চ্যালেঞ্জ।
এখন পর্যন্ত ২২বার টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে ১৩ বার জিতেছে পাকিস্তান। ৯ বার জয় আছে শ্রীলঙ্কার।
টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তানের জয়ের পাল্লা ভারি থাকলেও, এশিয়া কাপের মঞ্চে বেশি জয় রয়েছে শ্রীলঙ্কার। এশিয়া কাপে ১৬ বারের লড়াইয়ে ১১ বার জিতেছে লঙ্কানরা। ৫ বার জয় আছে পাকিস্তানের।
শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তিনি বলেন, ফাইনালের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পেয়েছি আমরা। এই জয় বাড়তি অনুপ্রেরণা দিবে। তবে ফাইনাল নিয়ে আমরা অনেক বেশি সতর্ক। পাকিস্তান শক্তিশালী দল। পুরো আসরে তা দেখিয়েছে তারা। ফাইনালে ঘুড়ে দাঁড়াতে মরিয়া থাকবে তারা। তাই পাকিস্তানকে আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না। আমরাও ছাড় দেবো না। ফাইনাল জিততে নিজেদের সেরাটা উজার করে দেবো।
সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কাার কাছে হারের পর বাবর বলেছেন, পাওয়ার প্লেতে আমরা ভালো খেলেছিলাম। কিন্তু তারপর ব্যাটিং ভালো হয়নি। আমরা জুটি বাধতে পারলাম না। খারাপ শট খেলে আউট হয়েছে সবাই। ফাইনালের আগে এই ধরনের ব্যাটিং দেখে চিন্তা হচ্ছে। আমাদের আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বোলাররা নিজেদের কাজ করেছে। আমাদের পেস বোলাররা ভালো ছন্দে রয়েছে। হাসান দলে ফিরেছে। ব্যাটারদের কোথায় ভুল হচ্ছে সেটা ফাইনালের আগে আলোচনা করতে হবে। আশা করি ফাইনালে সবাই নিজেদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করবে। ফাইনালে জয়ের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।