শিরোনাম
দুই দলই এশিয়া কাপ শুরু করেছে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরে। তবে পরের তিন ম্যাচে টানা জয় তুলে নিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে তারাই। অবশেষে ফাইনালের আগে সুপার ফোরের মুখোমুখি লড়াইয়ে থামলো এক দলের জয়যাত্রা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালের আগে দুই ফাইনালিস্টের লড়াইতে উড়তে থাকা পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের করা ১২১ রানের জবাবে তিন ওভার আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে দাসুন শানাকার দল।
অবশ্য ১২১ রানের পুঁজি নিয়েও লঙ্কানদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেটসহ পাওয়ার প্লে'তে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন কুশল মেন্ডিস ও দানুশকা গুনাথিলাকা। ধনঞ্জয় ডি সিলভা করেন ৯ রান।
তবে কপ্রান্ত আগলে রাখেন তরুণ ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫৫ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন তিনি। নিসাঙ্কাকে দারুণ সঙ্গ দেন ভানুকা রাজাপাকশে (২৪), অধিনায়ক দাসুন শানাকা (২১) ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (১০*)।
এর আগে শ্রীলঙ্কার আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। যে কারণে কখনোই রানরেট খুব একটা বাড়েনি তাদের। তবু প্রথম পাওয়ার প্লে'তে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান করে ফেলেছিল তারা।
কিন্তু সেখান থেকে আর সামনে এগোনো হয়নি, বরং পিছিয়েছেই পাকিস্তানের ইনিংস। দারুণ ফর্মে থাকা ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হয়েছেন ১৪ বলে ১৪ রান করে। রানখরায় থাকা অধিনায়ক বাবর আজম ৩০ রান করতে খেলেছেন ২৯ বল।
তিন নম্বরে নামা ফাখর জামান ও চারে নামা ইফতিখার আহমেদ- দুজনই করেছেন সমান ১৩ রান। ফাখর খেলেছেন ১৮ বল, ইফতিখার ১৭ বল। খুশদিল শাহর ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ৪ রান। খালি হাতেই ফিরে যান আসিফ আলি ও হাসান আলি।
বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ এক চার ও দুই ছয়ের মারে ১৮ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেললে কোনোমতে একশ পার হয় পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে চার ওভারে ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। অভিষিক্ত প্রমোদ মাদুশান ও অফস্পিনার মহেশ থিকশানার শিকার ২ উইকেট। এছাড়া চামিকা করুনারাত্নে ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা নিয়েছেন একটি করে উইকেট।