শিরোনাম
১৮ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া সফরের সুযোগ আসে জিম্বাবুয়ের সামনে। সফরে যাওয়ার আগে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও তার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছিল জিম্বাবুইয়ানরা।
বাংলাদেশকে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দুই সিরিজেই হারিয়ে বসে সিকান্দার রাজা-রেজিস চাকাভারা। এবার আরেকটি অভাবনীয় সাফল্য পেল জিম্বাবুয়ে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রায়ার্ন বার্লের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফারে অজিদের মাত্র ১৪১ রানে গুড়িয়ে দিয়ে ঐতিহাসিক এক জয় তুলে নিল জিম্বাবুইয়ান শিবির।
জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে জয়ের কীর্তি গড়লো রাজা-চাকাভা-রায়ান বার্লরা। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ২৯ বছরের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩য় ওয়ানডে জিতলো জিম্বাবুয়ে। এরমধ্যে ১৯৮৩ সালে প্রথম জয়ের পর। দ্বিতীয় জয় পেয়েছিল ২১ বছর পর ২০১৪ সালে।
এবার আরও ৮ বছর পর অজিদের মাটিতেই পেল তৃতীয় জয়। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা চরম পর্যায়ের ব্যাটিং কলাপ্সের শিকার হয়েছেন। টাউন্সভিলে টসে জিতে স্বাগতিক অজিদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচের শুরু থেকে টানা অস্ট্রেলিয়ার উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় জিম্বাবুইয়ানরা। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ৭২ রানের মধ্যে ৫ অজি ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার।
ম্যাচে অজিদের পক্ষে এই দুই ব্যাটসম্যানই কেবল ডাবল ডিজিট ছুঁতে পেরেছেন। ১৯ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল। আর ওয়ার্নার করেছেন সর্বোচ্চ ১৪ চার ও ২ ছয়ে ৯৪ রান। ম্যাচে অজিদের পক্ষে ওয়ার্নার একাই করেছেন ৬৭ শতাংশ রান। বাকিদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৩১ ওভারের মধ্যে ১৪১ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে বার্ল ৩ ওভারে ৫ উইকেট শিকার করেন। মাত্র ১০ রানের বিনিময়ে অজিদের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে একাই গুড়িয়ে দেন এই লেগস্পিনার। এটি বার্লের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। এছাড়া ব্র্যাড ইভান্স ২ উইকেট শিকার করেন।
এরপর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে ৩৮ রান তুলে ফেলে জিম্বাবুয়ে। ১৯ রান করে কাইতানো আউট হওয়ার পর ৬ রানের ব্যবধানে আরও ২ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে এরপর ৭৭ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। ওপেনার মারুমানি ৩৫ রানে ফেরার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক চাকাভা।
ষষ্ঠ উইকেটে টনি মুনিয়োঙ্গাকে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়েন চাকাভা। মুনিয়াঙ্গা ১৭ রানে ফিরলে বার্লকে নিয়ে আরেকটি ছোট জুটি গড়ে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক চাকাভা ৩৭ রান করে অপরাজিত থেকে ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে। অজিদের পক্ষে কেবল জস হ্যাজলউড ৩০ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা হুমকি দিলেও কাজ হয়নি।