শিরোনাম
এবারের এশিয়া কাপে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে মাতে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার এ লড়াইয়ে অংশ না নিলেও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন যোগ দেন। সুজনকে প্রতিহত করতে বাকযুদ্ধে নামেন সাবেক লঙ্কান তারকা মাহেলা জয়াবর্ধনে।
কথার লড়াইটা শুরু করেন শ্রীলংকার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। সাকিব আর মোস্তাফিজ ছাড়া বাংলাদেশ দলে বিশ্বমানের বোলার নেই বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।
লংকান অধিনায়কের সেই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন সুজন। বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর বলেন, শ্রীলংকা দলে তিনি কোনো বোলারই দেখছেন না।
সুজনের খোঁচার প্রতিক্রিয়ায় চটে যান শ্রীলংকার কোচ স্পিন বোলিং কোচ পিয়াল বিজেতুঙ্গা। তার হয়ে জবাব দেন জয়াবর্ধনে।
মাঠের লড়াইও হয় হাড্ডাহাড্ডি। এ যেন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতোই পরিস্থিতি। সে লড়াইয়ে অবশ্য জিতেছে শ্রীলংকা।
তবে লঙ্কান ব্যাটার ভানুকা রাজাপাকসেও মনে করছেন, ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝির কারণে দু্ই দলের মধ্যে এ কথার লড়াই হয়েছে। বাংলাদেশ-শ্রীলংকা এখন ভারত-পাকিস্তানের মতোই প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করেন তিনি।
রাজাপাকসে বলেন, ‘আমার মনে হয় না, অধিনায়ক তার কথায় ভুল কোনো কিছু বোঝাতে চেয়েছেন। তিনি যা বোঝাতে চেয়েছেন, আফগানিস্তানের বোলারদের তুলনায় বাংলাদেশের বোলারদের খেলা খানিকটা সুবিধার। যেটা হয়েছে যে, এটা নিয়ে দুই দলের মধ্যে ছোট ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’
বাংলাদেশের সঙ্গে মাঠের লড়াইটা ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের মতো হলেও বাইরে দুই দলের ক্রিকেটারদের সম্পর্ক ভালো, জানালেন রাজাপাকসে।
তিনি বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান যেমন খেলে, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকাও প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে মাঠের বাইরে আমরা খুব ভালো বন্ধু। কিছু কথায় হয়তো ক্রিকেটারদের ও স্টাফদের খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু মিডিয়ায় যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, আমরা বা আমাদের অধিনায়ক তেমন কিছু বোঝাতে চাননি।’