শিরোনাম
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সঙ্গে বাংলাদেশ এখনো বড্ড বেমানান। এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে ১৩৫ ম্যাচ শেষে মোটে ৪১ জয় বাংলাদেশের নামের পাশে। এই ফরম্যাটে ভালো না খেলার পেছনে বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটার মনে করেন, বাউন্ডারি হাঁকানোর ক্ষেত্রে দুর্বলতা আছে বলে পিছিয়ে আছে টাইগাররা।
তবে এমনটা মনে করেন না টাইগার ক্রিকেটার আনামুল হক বিজয়। লিটন দাসের চোট, মুনিম শাহরিয়ারের ভয়ানক অফ ফর্মের কারণে এশিয়া কাপে ওপেনার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন বিজয়। এই ক্রিকেটার বিশ্বাস করেন ব্যাট হাতে দলের জন্য প্রভাব রাখতে পারবেন তিনি। এছাড়াও দুবাইতে অনুশীলন শেষে এক ভিডিও বার্তায় বিজয় জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সব ক্রিকেটারই চার-ছয় মারার যোগ্যতা রাখেন।
বিজয়ের ভাষ্যে, ‘আমি দশ বছর বিপিএল খেলেছি। আমার মনে হয় আমরা যেরকম মেধাবী ও পরিশ্রমী খেলোয়াড় এখানে পরিকল্পনা জরুরি পাওয়ার হিটিংয়ের থেকে। কেউই বলতে পারে না এখানে কেউ ছয় মারতে পারে না, বা চার মারতে পারে না। যারা জাতীয় দলে আসে তাদের শতভাগ কোয়ালিটি নিয়েই আসে। আমার মনে হয় সবারই কোয়ালিটি আছে পাওয়ার হিটিং করার। সবারই চার-ছয় মারার কোয়ালিটি আছে।’
টি-টোয়েন্টিতে নামলে কেবল চার-ছয়ই মারতে হবে এভাবে না এগিয়ে বরং পরিকল্পনা করে খেলতে হবে বলে জানিয়েছেন বিজয়। এই ওপেনার বলেন, ‘আমারছয় মারতে ভাল লাগে। প্রয়োগ কখন করব, এটা আসলে গুরুত্বপূর্ণ।
এটা আসলে পরিকল্পনার বিষয় যে কোন বোলারকে পিক করব, চার-ছয় মারব, কোন বোলারকে মারব না, সিঙ্গেল নিব। কোন সময় মারা উচিত, কোন সময় মারা উচিত। উপর থেকে যদি দেখেন এক থেকে আট সবাই মারতে পারে। তাদের সময় দেওয়া উচিত ১০ বল, ৫ বল। এরপর এক্সিকিউশন করতে পারলে ভালোই হবে।’
এদিকে দলের নিয়মিত ওপেনারের বদলে সুযোগ পেয়ে এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মাঠে নামছেন বিজয়। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মাঠে নামতে পেরে খুশি বিজয় বিশ্বাস করেন দলের জন্য প্রভাব রাখতে পারবেন তিনি। নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীরামের সঙ্গে মিটিং শেষে সব ক্রিকেটারই মানসিকভাবে চাঙা আছে বলেও জানিয়েছে বিজয়।
জাতীয় দলের এই ওপেনার বলেন, ‘শ্রীরাম আসার পর আমাদের দারুণ মিটিং হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং , ফিল্ডিং সব বিভাগেই। আমার মনে হয় আমরা পরিষ্কার মানসিকতায় আছি। প্রতিটা খেলোয়াড় জানে তাদের কাজটা কী। আমরা মনে করছি দারুণ এক প্রভাব ফেলতে পারব।
এটা আমার প্রথম টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ। আমি আসার আগে খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম। এখানে সাকিব ভাই থেকে শুরু করে সবাই খুব আন্তরিক। দুদিন অনুশীলন করে মনে হচ্ছে আমরা ভাল প্রস্তুতি নিচ্ছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী মনযোগী হয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। সবাই সাহায্য করছে। আশা করি উপরের দিকে ভালো প্রভাব রাখতে পারব।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জার্নি শুরু হবে ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এর আগে দুই দিনের অনুশীলন শেষে আজ বিশ্রামে থাকবে টাইগার ক্রিকেটাররা। এরপর আবার পরের দিন অনুশীলনে নামবে ক্রিকেটাররা।