শিরোনাম
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উদিয়মান পেসার তাসকিন আহমেদ। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ দলে ইনজুরির কারণে জায়গা হয়নি তার। সেই সময়টাই ছিলো তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়।
ক্যারিয়ারে ইনজুরিকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়ানো তাসকিন আরেক বিতর্কে পড়ে যান ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ হয়ে খেলায় হয়নি আসরের কয়টা ম্যাচে।
খারাপ সময় আর নানা চড়াই উৎরাই পার করে নিজেকে এখন পরিণত করেছেন তাসকিন আহমেদ। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আছেন ১৫ জনের দলে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তাসকিন জানান, “আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক খুশি যে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছি এবার। আমি খুব এক্সাইটেড যে খেলতে পারবো ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ যদি নেয়।”
ঘরের মাঠে শেষ দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের সঙ্গে ছিলেন এই তরুণ পেসার। তবে খেলা হয়েছে মাত্র একটি ম্যাচ। প্রস্তুতিতে একটু ঘাটতি থাকবে নাকি এমন প্রশ্নের জবাবে তাসকিন বলেন, “ওটিস গিবসন ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে কাজ করছি। ওমানে গিয়েও ১০ দিন পাচ্ছি এবং প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলতে পারব তিনটি। আশা করি প্রস্তুতির কোনও ঘাটতি থাকবে না।”
বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে সব ক্রিকেটাররাই বাড়তি চাপে থাকে। বোলাররা উইকেট থেকে পাবেন না বাড়তি সুবিধা। স্পোর্টিং উইকেটে বোলারদের জন্য বল করাটাও চ্যালেঞ্জিং মনে করেন এই পেসার। এর আগে ওমান কিংবা দুবাইতে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই তাসকিনের।
“আমি খুবই রোমাঞ্চিত, কারণ ওমানে এর আগে আমার কখনো খেলা হয়নি। এমনকি দুবাইতেও যে ইভেন্ট গুলো হয়েছে আমি এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলিনি। ইনশাআল্লাহ আমার জন্য ওমান ও দুবাইতে খেলাটা একদম নতুন হবে যদি সুযোগ পাই। একই সময়ে আমি চাই ভালো কিছু উপহার দিয়ে ম্যাচ জেতানোর।”
এ পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ২৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাসকিনের উইকেট ১৫টি। সেরা বোলিং কলকাতায় পাঁচ বছর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।