শিরোনাম
নতুন কোচ এরিক টেন হাগের অধীনে ছন্দই খুঁজে পাচ্ছে না ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন আসরের প্রথম ম্যাচে ব্রাইটনের কাছে তারা হেরেছিল ২-১ গোলে। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে গিয়ে হারলো ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে।
প্রায় ৮৪ বছরের অপেক্ষার ইতি ঘটিয়ে ১৯৩৮ সালের ফেব্রুয়ারির পর অবশেষে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ইউনাইটেডকে হারালো ব্রেন্টফোর্ড। একই বছরের এপ্রিলে গ্রিমসবি টাউনের বিপক্ষে ৬-১ গোলে জিতেছিল তারা। এরপর ইউনাইটেডকে হারানো চার গোলের জয়টিই তাদের সবচেয়ে বড়।
পরপর দুই ম্যাচ হেরে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে এখন সবার নিচে অবস্থান করছে রেড ডেভিলরা। ১৯৯২ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচ শেষে টেবিলের তলানিতে নেমে গেলো তারা। সেবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইউনাইটেড। এটি থেকে অনুপ্রেরণা পেতেও পারেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা।
গত রাতে প্রথম ম্যাচের পরাজয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনেই আগের লিগের ১৩ নম্বর দল ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ইউনাইটেড। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর বদলে উল্টো আরও পিছিয়েছে টেন হাগের শিষ্যরা। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৩৫ মিনিট সময়ের মধ্যেই গোল চারটি করেছে ব্রেন্টফোর্ড।
ম্যাচের দশ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন জশ ডা সিলভা, মিনিট আটেক পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ম্যাথিয়াস জেনসেন। ঘড়ির কাঁটা ৩০-র ঘর ছুঁতেই স্কোরশিটে নাম তোলেন বেন মি। এর পাঁচ মিনিট পর হালিপূরণ করে স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেন ব্রায়ান বিউমো।
এ চার গোলের পেছনেই ছিলো ইউনাইটেডের রক্ষণের ছোট-বড় ভুল। বিশেষ করে প্রথম দুই গোলে বাচ্চাসুলভ ভুল করেন গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। প্রথমটি তার হাত ফসকে চলে যায় জালে, দ্বিতীয়টিতে নিজ ডিফেন্ডারের সঙ্গে থাকা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে না দেখেই পাস দিয়ে বসেন ডি গিয়া।
প্রিমিয়ার লিগের দীর্ঘ ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় দল হিসেবে ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধেই চার গোল করার কৃতিত্ব দেখালো ব্রেন্টফোর্ড। এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে টটেনহ্যাম হটস্পার ও পরের বছরের অক্টোবরে লিভারপুল এটি করে দেখায়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ইউনাইটেড। এর মধ্যে আবার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ক্রিশ্চেন এরিকসেনদের জোরালো হেডও খুঁজে পায়নি জালের ঠিকানা। ফলে চার গোল হজম করে কিছু ফেরত না দিয়েই মাঠ ছাড়ে প্রিমিয়ার লিগের একসময়ের রাজারা।