শিরোনাম
অবশেষে স্বস্তি ফিরলো স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার অন্দরমহলে। গতকাল হয়তো একটা লম্বা স্বস্তির নিঃশ্বাসই ছেড়েছেন বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা। অনেক ঝড়ঝাপটার পর অবশেষে চলতি গ্রীষ্মকালীন দলবদলে দলে ভেড়ানো খেলোয়াড়দের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পেরেছে বার্সেলোনা।
চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা একাধিক খেলোয়াড় কিনে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। কিন্তু শুধু খেলোয়াড় দলে ভেড়ালেই তো হবে না, তাদের নিবন্ধনও সম্পন্ন করতে হবে। আর্থিক সংকটে সেটাই এতদিন করতে পারছিল না তারা।
অথচ লালিগায় আজ রাতেই প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। তার আগেই খেলোয়াদের নিবন্ধন শেষ করার চ্যালেঞ্জ ছিল স্প্যানিশ ক্লাবটির সামনে। সে চ্যালেঞ্জে আপাতত জয়ী বলা যায় তাদের। কারণে যে সাতজনের নিবন্ধন বাকি ছিল, তার মধ্যে ছয়জনের নিবন্ধনই সম্পন্ন করতে পেরেছে তারা।
নতুনদের মধ্যে রবার্ট লেভানডফস্কি, ফ্রাঙ্ক কেসি, রাফিনিয়া, আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন এখন বার্সেলোনার নিবন্ধিত খেলোয়াড়। শুধু জুলস কুন্দেকেই নিবন্ধন করাতে পারেনি ক্লাবটি। এছাড়া চুক্তি নবায়ন করলেও উসমান দেম্বেলে ও সার্জিও রবার্তোকেও নিবন্ধন করানো বাকি ছিল। সেটাও সম্পন্ন করতে পেরেছে ক্লাবটি।
শেষ মুহূর্তে কোনো উপায় না পেয়ে শনিবার (১২ আগস্ট) স্প্যানিশ সময় সকালে ক্লাবের চতুর্থ ইকোনোমিক লেভার খুলে ফেলে খেলোয়াড়দের নিবন্ধন করার জন্য। এরপর খেলোয়াড়দের নিবন্ধিন করানোর কাগজপত্র পাঠানো হয় লা লিগার কাছে। ইকোনমিক লেভার পদ্ধতির মাধ্যমে ক্লাবের বিভিন্ন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির আংশিক বা পুরোটা বিক্রি করে নগদ অর্থ জোগাড় করা হয় দেনা শোধ করা ও অন্যান্য দায় মেটানোর জন্য।
যদিও এখানেও চ্যালেঞ্জ ছিল বার্সেলোনার জন্য। কারণ, লা লিগা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, সময় হাতে রেখে কাগজপত্র জমা দিতে হবে, যাতে করে খেলোয়াড়দের তথ্য উপাত্ত যাচাই করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। তবে শেষ পর্যন্ত এই চ্যালেঞ্জেও জিতেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
এখন বাকি রইলো শুধু কুন্দে। আগেই অবশ্য জানা গিয়েছিল এই ধাপে কুন্দেকে নিবন্ধন করাতে পারছে না বার্সেলোনা। সেজন্য তাদের স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে হবে বা কাউকে বিক্রি করত হবে। ফলে এখন সেই পথেই হাটছে তারা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে বেতন কমানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে তারা। আর বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিক্রিও করবে ক্লাবটি।