শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নতুন চক্রের সূচি অনুমোদন করেছে আইসিসি। বার্মিংহামে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার সভায় ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত এ চক্রে ঘোষণা করা হয়েছে নারী ক্রিকেটের আগামী চারটি বিশ্ব আসরের স্বাগতিক দেশের নাম। যেখানে তিনটি আসরই হবে এশিয়াতে।
এর মধ্যে ২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে বাংলাদেশ। দশ দলের অংশগ্রহণে ২৩ ম্যাচে শেষ হবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের এ বিশ্ব আসর। বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আয়োজিত হবে এ বিশ্বকাপের।
এছাড়া ২০২৫ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ভারতে। পরের বছর এটি চলে যাবে ইংল্যান্ডে। আর ২০২৭ সালে নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম আসরে কোয়ালিফাই করা সাপেক্ষে স্বাগতিক থাকবে শ্রীলঙ্কা।
বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটি দারুণ খবর। নারী ক্রিকেটের প্রসার বৃদ্ধির এ সময়ে বিশ্বকাপের মতো আসর আয়োজনের সুযোগ দেওয়ায় বিসিবির পক্ষ থেকে আইসিসিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেছেন, এই আসরটি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের জন্য খুবই ফলপ্রসু আয়োজন হবে। বিশেষ করে ছোট মেয়েরা যার ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী, তারা অনুপ্রেরণা পাবে। আমাদের মেয়েরা বিশ্ব ক্রিকেটে এরই মধ্যে নিজেদের ছাপ রাখতে শুরু করেছে। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপেও তারা ভালো খেলবে। আমি নিশ্চিত ২০২৪ সালে অসাধারণ একটি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে বাংলাদেশ।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ পেলো বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ সালে একসঙ্গে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসেছিল বাংলাদেশে। জানা গেছে, ২০২৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ তিনটি হবে সিলেটে।
উল্লেখ্য, চার বছরের চারটি আসরে অংশগ্রহণকারীর দলের সংখ্যাও থাকবে ভিন্ন। ২০২৫ সালে ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ৮ দলের অংশগ্রহণে হবে ৩১টি ম্যাচ। পরের বছর ইংল্যান্ডে হবে ১২ দলের ৩৩ ম্যাচের বিশ্বকাপ। সবশেষ ২০২৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লড়বে ছয়টি দল, খেলা হবে মোট ১৬টি ম্যাচ।
আইসিসির এ সভায় পুরুষ ক্রিকেটেরও ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত চক্রের ভবিষ্যৎ সফরসূচি (ফিউচার ট্যুর প্ল্যান-এফটিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা আসন্ন দিনগুলোতে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া কম্বোডিয়া, উজবেকিস্তান ও আইভরি কোস্টকে দেওয়া হয়েছে আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ। ফলে এখন আইসিসির মোট সদস্য দেশের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৮টি।