শিরোনাম
অ্যাডেন মার্করামের ঘণ্টায় ৯৯ কি.মি. গতির আর্ম বল রিভার্স সুইপ করতে যাওয়া বেন স্টোকসের প্যাডে আঘাত হানতেই ওয়ানডেতে বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় এই ইংলিশ অলরাউন্ডারের। আম্পায়ারও মাত্র ৫ রান করা স্টোকসকে আউট দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেননি।
এলবির শিকার হয়ে ইংলিশদের হয়ে রঙিন পোশাকের জার্সিতে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাট থেকে শেষবারের মতো সবুজ গালিচা ছাড়েন স্টোকস। বিদায়ের ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন ইংলিশ এই অলরাউন্ডার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে থেকে শেষ বিদায়টা এত বাজে হবে ভেবেছিলেন কী স্টোকস!
চেস্টার লি স্ট্রিটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে স্টোকস বলেছিলেন, ‘ওয়ানডেতে শতভাগ দিতে পারছি না আমি।’
সেই চিত্রই ফুটে উঠেছিল প্রোটিয়ানদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে। ওয়ানডেতে ১০৫ ম্যাচে ৭৪ উইকেট শিকার করা স্টোকস এদিন ছিলেন ইংলিশদের হয়ে সবচেয়ে বাজে বোলার। ম্যাচে মাত্র ৫ ওভার বল করেছেন। তাতেই দিয়েছেন ৪৪ রান। উইকেট বা মেডেন তো ছিলই না। ম্যাচে ইকোনমির দিক থেকে দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ছিল স্টোকসের, ৮.৮০।
অলরাউন্ডারদের অবশ্য সুবিধা বল না হলেও ব্যাট হাতে পুষিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। তবে এদিন সেখানেও ব্যর্থ স্টোকস। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংলিশ দুই ওপেনার ১০২ রান তোলেন। সেই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে মাত্র ৫ রান করেই দলের বিপদ বাড়িয়ে বিদায় নিয়েছেন স্টোকস।
এদিন ফিল্ডিংয়েও উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি এই ইংলিশ ক্রিকেটার। অথচ স্টোকস মানেই ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে এক যোদ্ধার প্যাকেজ। সেই স্টোকসের ওয়ানডে থেকে বিদায় ছিল চরম বাজে। দলও হেরেছে ৬২ রানে। স্কোরকার্ডে এদিন নামটা ছাড়া আর কিছুতেই যেন ছিলেন না ইংলিশদের ওয়ানডেতে বিশ্বকাপ জেতানো নায়ক।
গৌরবময় অনিশ্চিয়তার খেলা ক্রিকেটে ঠিক এমন দিন আসে বলেই বেঞ্জামিন অ্যান্ড্রু স্টোকসদের মতো দেবতারাও মনুষ্য ক্লান্তি এবং দুঃখ নিয়েই বিদায় নেন সবুজ গালিচার বুক থেকে।