শিরোনাম
টেস্টে বাংলাদেশর ১০০তম হারটা এলো সাকিব আল হাসানের হাত ধরে। অথচ এই সাকিবের হাত ধরে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
সময়ের সঙ্গে সব কিছুরই পরিবর্তন হয়, উন্নতি আসে। কিন্তু বাংলাদেশের হয়েছে অবনতি। ঘরের মাঠে কিংবা বিদেশের মাটিতে, টেস্ট ফরম্যাটে খাপ খাওয়ানোটাই মুশকিল হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের জন্য।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই হারের ব্যর্থতা মাথায় চেপে অধিনায়কত্বকে বিদায় বলে দেন মুমিনুল হক।
মুমিনুল গেলেন, সাকিব আসলেন, তাতেও বা কি আসল আর গেল। বাংলাদেশ হেরেই চলছে। উইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হতে হলো ২-০ ব্যবধানে। ১ রানে কিংবা ১০০ রানে হার, পরাজয় তো পরাজয়ই তবে দুটো ম্যাচেই যে বাংলাদেশ ইনিংসে হারের লজ্জা পাওয়া থেকে কোনোমতে বেঁচে গেল!
ব্যর্থ একটা সিরিজ শেষে সাকিব আল হাসান অবশ্য ইতিবাচক দিকই খুঁজলেন। বলেছেন, ‘আমাদের কাছে সব সময়ই টেস্ট সংস্করণটা কঠিন। আমরা জানতাম এটাও কঠিন সিরিজ হতে যাচ্ছে। আমরা সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় ইতিবাচক অনেক কিছু নেওয়ার আছে এখান থেকে, যেটা আমাদেরকে টেস্ট জেতাতে সাহায্য করবে।’
উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ লম্বা সময় বিরতি পাবে বাংলাদেশ টেস্ট দল। আগামী নভেম্বরে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে রয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান চক্রের সিরিজ। ভারতের বিপক্ষে নামার আগে সাকিব জানিয়েছেন, ঘরের মাঠে এই সময়টায় নিজেদের তৈরি করার কথা।
‘আরও পাঁচ মাস পর ঘরে খেলব। সেখানে সব দিক নিয়ে নজর দিয়ে উন্নতির সুযোগ পাব, আশা করছি তখন পারফরম্যান্স ভাল হবে। আমরা এই টেস্টের পরে ঘরের মাঠে লম্বা সময় পর খেলব। সেখানে আমরা ভুল ত্রুটি শোধরে ফিরতে চাই। আমি ব্যাটিং নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমাদের মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। সেরকম হতে পারলে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ দল হতে পারব। আমি বিশ্বাস করি সব বড় দলের বিপক্ষে আমাদের লড়াই করার সামর্থ্য আছে।’
টেস্ট সিরিজ শেষে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে রয়েছে ৩টি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ম্যাচ। সাকিবের প্রত্যাশা সাদা বলের ক্রিকেটে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
‘আমার মনে হয় সাদা বলে আমরা অনেক ভাল। বিশেষ করে ওয়ানডেতে আমরা বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। টি-টোয়েন্টিতেও খুব পিছিয়ে নেই। বাকি দুই সিরিজ নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী।’