শিরোনাম
তথ্য গোপনের অভিযোগে করোনা মহামারী সময় মাঠে খেলা শুরু হওয়ার পরও তা বন্ধ বন্ধ করে দেয় ব্রাজিল ফুটবল কর্তৃপক্ষ। ম্যাচটি পরবর্তী খেলার ঘোষণা দিয়ে তা বাতিল করে ফিফা কর্তৃপক্ষ। পরে সেই ম্যাচটি দুই পক্ষকে খেলানোর অনেক চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আর্জেন্টিনা তাতে রাজি হচ্ছিল না।
ফিফার নির্দেশ, নির্ধারিত সময়ই খেলতে হবে ‘পরিত্যাক্ত’ হওয়া সেই ম্যাচ। সেজন্য আগামী বুধবারের মধ্যে ব্রাজিলকে ম্যাচের ভেন্যুর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সাও পাওলোতে গত বছর সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অগ্নিগর্ভ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় কোভিড বিধিনিষেধ ভাঙার অভিযোগে আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে ধরতে মাঠে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এতে বেধে যায় লংকাকাণ্ড। স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচ।
আর্জেন্টিনা আশায় ছিল, পণ্ড ম্যাচের পুরো তিন পয়েন্ট তাদের ঝুলিতে যাবে। কিন্তু পাঁচ মাসের বেশি সময় পর গত ফেব্রুয়ারি ফিফা সেই ম্যাচ ফের আয়োজনের নির্দেশ দেয়।
পাশাপাশি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্রাজিলে প্রবেশের অভিযোগে আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার রোমেরো, এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ও জিওভান্নি লো সেলসোকে দুই ম্যাচ করে নিষিদ্ধ করে ফিফা।
কিন্তু এরইমধ্যে ম্যাচটি দুই দলের কাছেই গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। কারণ ইতোমধ্যে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তি।
যে কারণে যেকোনও উপায়ে ম্যাচটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
কিন্তু তা আর হচ্ছে না। তাদের বাতিল হওয়া সেই ম্যাচটি আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ম্যাচ আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে ফিফা।
আর বুধবারের মধ্যে সেই ম্যাচের ভেন্যু ঠিক করে ফিফাকে জানাতে হবে ব্রাজিলকে।
এদিকে ম্যাচ আয়োজনের জন্য তিনটি ভেন্যুর বিষয় পর্যালোচনা করছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন - ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রাজিলে।
ইউরোপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলার পর একটি আফ্রিকান দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথ আয়োজনে আগ্রহী অনেকদিন ধরেই। তাদের কথাও মাথায় রেখেছে ব্রাজিল। এই দুটির কোনোটি না হলে ব্রাজিল ঘরের মাঠেই আর্জেন্টিনাকে আতিথেয়তা দিতে চায়।
সূত্র: এমএসসি ফুটবল, ওলেডটকম, আর্জেন্টিনা