শিরোনাম
২০০৭ বিশ্বকাপকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের দিনবদলের সূচনালগ্ন হিসেবেই দেখা হয়। ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দারুণ একটা বিশ্বকাপই সেবার কাটিয়েছিল হাবিবুল বাশারের দল। তবে চাঁদের কলঙ্কের মতো সেই বিশ্বকাপেও একটা দুঃস্মৃতি আছে বাংলাদেশের।
সেবার পুঁচকে আয়ারল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই ইনিংস খেলে তাতে বড় অবদানই ছিল উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের। সেই পোর্টারফিল্ড এবার ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানান সাবেক আইরিশ অধিনায়ক।
পোর্টারফিল্ড সেই একবারই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন, বিষয়টা মোটেও এমন নয়। দুই বছর পর আরও এক বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল দুই দলের। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইরিশরা হারিয়েছিল বাংলাদেশে, সেই ম্যাচে বিচক্ষণ অধিনায়কত্বে বাংলাদেশকে হারাতে বড় ভূমিকাই রেখেছিলেন পোর্টারফিল্ড।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি আছে তার, দুই দলের সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচেও খেলেছিলেন ৯৪ রানের ইনিংস। সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে বেশ কয়েকবারই ভোগান্তিতে ফেলেছিলেন তিনি।
তবে কেবল বাংলাদেশের বিপক্ষেই নয়, ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি যা করেছেন, তাতে আইরিশদের ক্রিকেট ইতিহাসে সোনার হরফেই লেখা থাকবে তার নাম। দেশটির হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪৮ ম্যাচ খেলেছেন তিনি, ১১ সেঞ্চুরি ও ২০ ফিফটিতে তার রান ৪ হাজার ৩৪৩ রান করে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় তার অবস্থান দুইয়ে।
অধিনায়ক হিসেবে তো তিনিই আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা। ২০০৮ সালে ট্রেন্ট জনস্টনের কাছ থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটনটা তার হাতে ওঠে। এরপর থেকে তার নেতৃত্বে আইরিশরা খেলেছে সবচেয়ে বেশি ১১৩ ওয়ানডে। সর্বোচ্চ ৫০ জয়ও এসেছে তার অধিনায়কত্বেই। তার নেতৃত্বে ৫৬ টি-টোয়েন্টির ২৬ ম্যাচে জিতেছে আইরিশরা। দুই ফরম্যাটেই সর্বোচ্চ জয় তার অধীনে। দেশটির সবকটি টেস্টেই অধিনায়কত্ব করেছেন পোর্টারফিল্ড।
২০১৯ সালের শেষ দিকে ১১ বছর পর অধিনায়কত্ব ছাড়েন তিনি। এবার দিলেন খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করার ঘোষণা। তবে ক্রিকেট ছাড়ছেন না সহসাই। গ্লস্টারশায়ারের পরামর্শক কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এই পথ ধরেই এগোনোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।