বাংলাদেশের আম-লিচু-কাঁঠালের প্রেমে মজেছেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা

ফানাম নিউজ
  ১০ জুন ২০২২, ০৮:৫৩

বাংলাদেশে এখন চলছে মধুমাস খ্যাত জৈষ্ঠ্য মাস। চারদিকে আম-জাম-লিচু-কাঁঠালে সয়লাব। মধুময় রসালো ফলের গন্ধে ম ম করছে চারপাশ। এমন এক সময়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফির সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে এলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা ক্রিশ্চিয়ান কারেম্বু।

ঢাকায় পা রাখার সাথে সাথেই বাংলাদেশের মৌসুমী ফলের প্রেমে পড়ে যান ফ্রান্সের সাবেক এই তারকা ফুটবলার। সম্প্রতি নিজেই বাংলাদেশের ফলের প্রেমে মজে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে এসে ক্রিশ্চিয়ান কারেম্বু অনেক কথার ভিড়ে, বাংলাদেশের আম-লিচুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের আতিথেয়তা প্রসঙ্গে ফ্রান্সের সাবেক এই তারকা বলেন, ‘তা দারুণ। এখানে এসে আম ও লিচু খেয়েছি। অনেক ভালো লেগেছে।’

ক্রিশ্চিয়ান কারেম্বুর বাংলাদেশের মৌসুমী ফলের এমন প্রেমে মজে যাওয়ার গল্প শোনা গেছে তার সঙ্গে গত দু’দিন থাকা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এক কর্মকর্তার মুখে। সেই গল্পই তুলে ধরা হলো জাগো নিউজের পাঠকদের কাছে।

বাফুফে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বুধবার হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে হোটেলে আসার পথে রাস্তার পাশে আম এবং লিচুর দোকান দেখে কৌতুহলী হয়ে ওঠেন এবং গাড়ি দাঁড় করান কারেম্বু। এরপর গাড়ি থেকে নেমে তিনি মোবাইলে আম-লিচুর ছবি তোলেন।’

‘এরপর বিকেলে যখন বিশ্বকাপ ট্রফি বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে বাফুফে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন ক্রিশ্চিয়ান কারেম্বু। এ সময় তিনি মোবাইল থেকে ছবি বের করে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে সেই ছবিগুলো দেখান এবং জানতে চান এগুলো কী?’

‘জবাবে বাফুফে সভাপতি তাকে বলেন, এগুলো খুব মজাদার ফল। তুমি খাবে? সে বললো অফকোর্স খাবো। বাফুফে সভাপতি তখন সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে বলেন, কারেম্বুর হোটেলের রুমে আম আর লিচু পাঠিয়ে দিতে। এ সময় রাষ্ট্রপতি এই কথোপকথন শুনে বললেন, সাথে একটি বড় কাঁঠালও পাঠিয়ে দিতে।’

‘পরে তার হোটেল রুমে আম লিচু এবং কাঁঠালও পাঠানো হয়। এগুলো পেয়ে কারেম্বু বললেন, আজ (বুধবার রাতে) আর কিছুই খাবো না। ডিনারে শুধু এগুলোই খাবো। যদিও রাতে ডিনার করেছেন এবং স্বল্প পরিমাণে ফল খেয়েছেন। এরপর সকালে ব্রেকফাস্টে কিছুই খাননি, শুধু ফল খেয়েছেন। এমনকি রুমে বসে সারাদিন লিচু খেয়েছেন।’

বাফুফে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কার্টুনে করে হোটেলে তার জন্য কিছু আম-লিচু পাঠিয়ে দেয়া হবে তার সঙ্গে। বাংলাদেশ থেকে সেই ফল নিয়ে যাবেন পূর্ব তিমুর।