শিরোনাম
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে প্রায় চল্লিশ দিনের সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেতে শুরু করেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। প্রথম দফায় ৬ ক্রিকেটার রওয়ানা করেন ক্যারিবীয় দ্বীপের উদ্দেশে। বাকিরাও রওয়ানা করবেন শিগগির।
শেষ মুহূর্তে এই সফরের ওয়ানডে দলে যোগ হয়েছিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। এখন তাকে বাদ দিতে হচ্ছে দল থেকে। গত ২ জুন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভা শেষে নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, যতটা সম্ভব ব্যয় কমানো হবে এই সফরে।
এর জন্য ক্রিকেটার ও সাপোর্টিং স্টাফদের বাদ দেওয়ার গুঞ্জন ওঠে। শেষ পর্যন্ত সেটিই হতে যাচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিতিশীল প্রভাব পড়েছে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের ওপর। মূলত এ কারণেই বাদ পড়েছেন হাসান মাহমুদ। এছাড়াও বাদ পড়েছেন দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুসহ দলের কয়েকজন সাপোর্ট স্টাফ। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবির একটি সূত্র।
গত বৃহস্পতিবার বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন খরচের খাত উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘আমরা দেখছি খরচ অসম্ভব হারে বেড়ে গেছে। দেশের কথা বলছি না। অনেক কিছুরই খরচ বেড়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ আগে যে টিকিট ভাড়া ছিল ৩-৪ লাখ, সেটি এখন হয়ে যাচ্ছে ১০-১১ লাখ। হোটেল ভাড়া যেটা ছিল বড়জোর ২৫০ ডলার। সেটি এখন কমপক্ষে ৪০০-৫০০ ডলার করে লাগছে।’
খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফ কমানোর পেছনে নাজমুল হাসান কারণ হিসেবে দেখিয়েছিলেন বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় অতিরিক্ত খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফ রাখার প্রয়োজন হচ্ছে না।
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই শুরু। এখানেও যাদেরকে না পাঠালেও চলে... এরকম কিছু হয়তো বাদ যাবে। এখন আর সেই পরিস্থিতি (করোনা) নেই। এছাড়া যেহেতু এখন বাইরে জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না, সেজন্য বোর্ডকে সামগ্রিকভাবে বলা হয়েছে প্রত্যেকটা বাজেট কমিয়ে আনতে হবে।’
আগামী ১৬ জুন থেকে ১৬ জুলাই, দীর্ঘ এক মাস ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। দীর্ঘ এই সফরে রয়েছে ২টি টেস্ট, ৩টি টি-টোয়েন্টি ও ৩টি ওয়ানডে ম্যাচ।
সূত্র: আরটিভি