ভালো উইকেটে খেললে উন্নতি সম্ভব : ডমিঙ্গো

ফানাম নিউজ
  ২৭ মে ২০২২, ১৭:৩৯

ঘরের মাঠে এখন পর্যন্ত ৬৯টি টেস্ট খেলে ১০টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ২০১৬ সালে মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ২০১৭ সালে একই ভেন্যুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়। এছাড়াও ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও টানা দুই জয় দেখেছে টাইগাররা।

তবে সেসব ক্ষেত্রে ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে স্পিনিং পিচ বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের টেস্ট ইতিহাসে সে জয় উল্লেখযোগ্য হলেও র্যাং ক টার্নারে খেলার দরুণ সেসব টেস্টে বাংলাদেশের উন্নতির খুব বেশি চিত্র দেখা যায়নি। এমনকি পরবর্তী সময়ে রঙিন পোশাকের সিরিজেও স্পিনিং পিচের সুবিধা নিয়েছে বাংলাদেশ।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা বাজেভাবে কাজ করেছিল টাইগারদের প্রতি। বিশেষ করে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ হারিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যায় টাইগাররা। কিন্তু স্পিনিং পিচে খেলার দরুণ বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।

টাইগারদের বর্তমান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও মনে করছেন টেস্টে দলের উন্নতির জন্য ভালো স্পোর্টিং উইকেটে খেলা ভীষণ জরুরি। স্পিন বা খারাপ উইকেটে খেললে সাময়িক জয় পাওয়া হয়ত সম্ভব হয়, তবে লম্ভা সময় বা ভবিষ্যতের জন্য ক্রিকেটের তেমন কোনো উন্নতি হয় না বলেই মতামত দিয়েছেন ডমিঙ্গো।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হেরে সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো স্পোর্টিং পিচে খেলার কথা জানিয়ে বলেন,

‘এটা (স্পিনিং উইকেট) হয়ত আপনাকে মাত্র একটা টেস্টে সাহায্য করতে পারে কিন্তু টেস্ট টিমের লম্বা সময়ের উন্নতির জন্য এটা সাহায্য করবে না।

আগের সব টেস্ট জয়ের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, সে ম্যাচ গুলো আমাদের সামনে এগিয়ে নিলেও ক্ষতি করেছে। আমি ভালো পিচে খেলা পছন্দ করি, যদিও আমরা দ্বিতীয় (পরাজিত দল) থাকি।

তবে আমরা যদি উইকেটের সুবিধা নিয়ে এই করে, সেই করে ম্যাচ জিতি, সেটা দেশের বাইরে ভালো খেলতে আমাদের সাহায্য করবে না।

এই সিরিজে খেলা দুটি উইকেটই কিন্তু ভালো ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি, কারণ আমরা সাধারণত বাজে পিচে খেলতে অভ্যস্ত।

আমাদের ভালো পিচে খেলতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতেও আমাদের উন্নতি করা সম্ভব হবে।’

সূত্র: আরটিভি