শিরোনাম
দীর্ঘ ১১ বছর পর বাংলাদেশে ফিরেছেন জেমি সিডন্স। ২০১১ সালে বাংলাদেশ দলের হেড কোচের দায়িত্ব ছাড়ার সময় তরুণ সাকিব, তামিম, মুশফিকদের রেখে গিয়েছিলেন তারাই এখন সিনিয়র, নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে।
লম্বা সময় পর বাংলাদেশ দলে ফেরা জেমি সিডন্সের কাজের ক্ষেত্রও পরিবর্তন হয়েছে। এখন তিনি শুধুই ব্যাটিং কোচ। পুরোনো ছাত্রদের এখন আর নতুন করে শেখানোর কিছু নেই। ভুলত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিলেই হচ্ছে বলা যায়।
১৯-২০ বছরের যে ছেলেগুলোকে রেখে গিয়েছিলেন তারা এখন দলের সিনিয়র সদস্য। অনেকের সময়ও হয়ে গেছে ক্রিকেটকে বিদায় বলার। কিন্তু তার আগে নিজেদের সেরা সময়ে আছেন বলে জানিয়েছেন জেমি সিডন্স।
চট্টগ্রামে তামিম-মুশফিকের সেঞ্চুরি, ঢাকা টেস্টে ফিরে আবারও মুশফিকের সেঞ্চুরি। দলের হাল ধরতে শিখে গেছেন লিটন দাসও। প্রথম টেস্টে ৮৮ রানের পর দ্বিতীয় টেস্টে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ছাত্রদের এমন পারফর্ম তাকে বলতে বাধ্য করেছে, আগের বাংলাদেশ দল আর নেই। এসেছে অনেক পরিবর্তন।
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু আগে জেমি বলেছেন, ‘সত্যি করে বললে, আমি অনেক পরিবর্তন দেখছি, পারফরম্যান্স ও অ্যাটিচিউড দুই দিক থেকেই। তারা এখন অনেক বেশি পেশাদার। আমার মনে হয় সিনিয়ররা এখনও সেরা খেলোয়াড়, লিটনকে বাদ দিলে হয়তো... সে এখন সিনিয়র খেলোয়াড় হওয়ার পথে, অনেক টেস্ট খেলে ফেলেছে।’
পেসারদের মাঝেও দারুণ উন্নতি দেখছেন জেমি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাইরে দুর্দান্ত পারফর্ম করতে দেখা গেছে শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেনদের।’
পেসারদের নিয়ে জেমি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় সবচেয়ে বড় বদলটা এসেছে পেস বোলারদের দিক থেকে, বাংলাদেশের এখন দুর্দান্ত কিছু পেসার আছে। এটা বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলবে।’
পরিবর্তনের ধারায় থাকলেও একটা দিক থেকে উন্নতিটা থমকে আছে। বিশেষ করে উইকেট পড়তে থাকলে একসঙ্গে বেশ কয়েকটা উইকেট পড়ে যাচ্ছে। যেমনটা দেখা গেল ঢাকা টেস্টে। প্রথম দিনে ২৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
এ নিয়ে নেমি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের এখনও একসঙ্গে উইকেট হারানোর প্রবণতা রয়ে গেছে। এই দিকটাতে কোনো বদল আসেনি। আমাদের এটা দ্রুত বদলাতে হবে। এটা অগ্রহণযোগ্য। এই ম্যাচেই যেমন অল্প রানে পাঁচ উইকেট গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এমন হয়েছে। আমাদের এটা দ্রুত বদলাতে হবে। আমার মনে হয় না এটা থেকে বেশি দূরে আছি। কিছু টেকনিক্যাল ও মেন্টাল পরিবর্তন আনলেই আমরা দ্রুত পরিবর্তন দেখতে পাব। তবে এখন লম্বা সময় ব্যাট করার সামর্থ্যটা দুর্দান্ত। মুশফিক, লিটন, প্রথম টেস্টে তামিম... এ জিনিসগুলো তখন (২০১১ সালে) খুব একটা দেখা যেতো না। তো এই পরিবর্তনটা এসেছে।’
সূত্র: আরটিভি