শিরোনাম
হারলে বিদায় নিশ্চিত। আর জিতলে টুর্নামেন্টে থাকা যাচ্ছে আপাতত। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর এই ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন বিরাট কোহলি।
৫৪ বল খেলে ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার মারে করলেন ৭৩ রান। তার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ভর করে গুজরাট টাইটান্সের ছুড়ে দেওয়া ১৬৯ রান পার করে ব্যাঙ্গালুরু।
অথচ এবারের আইপিএলে এ ম্যাচের আগে ১৩ ইনিংসে মাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি ছিল কোহলির। মাত্র ১৯.৬৭ গড়ে তার সংগ্রহ ২৩৬ রান। যেটি নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছিল। তার ক্যারিয়ারের যতিচিহ্নও অনেকে একে দিতে যাচ্ছিলেন।
সব কিছুর জবাব দেন কোহলি। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গুজরাট দেওয়া ১৬৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই স্বরূপে দেখা দেন বেঙ্গালুরুর সাবেক অধিনায়ক কোহলি।
অধিনায়ক ডু প্লেসির সঙ্গে উদ্বোধনী উইকেটে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। মাত্র ৩৩ বলে সাত চার ও এক ছয়ে তুলে নেন এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক।
ইনিংসের ১৭ তম ওভারে রশিদ খানের বলে স্টাম্পড হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে ৫৪ বলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন। কোহলি যখন ফেরেন তখন বেঙ্গালুরুর জয় প্রায় নিশ্চিত।
ফলে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পান কোহলি।
দীর্ঘ সময় পর ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে যারপরনাই খুশি কোহলি। জানালেন, আইপিএলে রান না পাওয়া নিয়ে বেশ হতাশ ছিলেন। এবার সেই হতাশা কাটল।
ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে কোহলি বললেন, ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটা। আমাকে ভালো খেলতেই হতো। দলের হয়ে অবদান রাখতে পারছিলাম না, দলকে জেতাতে পারছিলাম না, এই ব্যাপারটা আমাকে হতাশ করে তুলেছিল। যদিও পরিসংখ্যান নিয়ে অত ভাবি না। কিন্তু দলকে জেতাতে না পারলে বেশি চিন্তায় পড়ি। আজ এমন একটা ম্যাচ ছিল যেখানে দলের হয়ে ম্যাচে একটা প্রভাব ফেলতে পেরেছি। এই জয় দলকে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে গেল।’
এই ম্যাচ দিয়েই নিজেকে ছন্দে ফিরে পাবেন বলে আগেই বুঝতে পেরেছিলেন কোহলি।
এমনটা জানিয়ে কোহলি বলেন, ‘কাল ৯০ মিনিট নেটে ব্যাটিং করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) ব্যাটিং করতে আসার সময় অনেক শান্ত ও খোলামনে ছিলাম। শামির বলে প্রথম শট মারার সময়েই বুঝে গিয়েছিলাম, বোলারদের মাথার ওপর দিয়ে আজ শট খেলতে পারি। বুঝতে পেরেছিলাম আজই সেই রাত যে দিন আমার ব্যাট থেকে রান পাওয়া যেতে পারে।’