শিরোনাম
আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে কলকাতা টিম ম্যানেজমেন্টের অবহেলার শিকার বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটপ্রেমীরা দাবি এমনই। এর পেছনে যুক্তিও অকাট্য। গত মার্চ-এপ্রিলে ভারতে হওয়া আইপিলের প্রথমভাগে সাতটি ম্যাচ খেলেছে কলকাতা। যার তিনটিতে মূল একাদশে ছিলেন সাকিব। অথচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঁচ ম্যাচ খেললেও সাকিবকে দলে নেয়নি কলকাতা। সূত্র: যুগান্তর
অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের ইনজুরিতে সাকিবের কপাল খুলেছে বলে মনে করা হলেও সবাইকে বিস্মিত করে কিউই পেসার টিম সাউদিকে খেলানো হয়। গত ম্যাচে নেওয়া হয় কিউই ব্যাটার টিম সেইফার্টকে।
আর এদিকে ফর্ম না থাকলেও অধিনায়ক হওয়ায় দিব্যি খেলে যাচ্ছেন এইউন মরগান। গত চার ম্যাচে তার স্কোর - ২, ০, ৮, ৭।
এদিকে দলও একের পর এক হার দেখে প্লে-অফের পথ কঠিন করে তুলেছে। ১২ ম্যাচ খেলে মাত্র পাঁচটি জিতেছে কলকাতা। শেষ দুই ম্যাচে জিততে না পারলে প্লে-অফের টিকিট পাওয়া হবে না তাদের।
এমতাবস্থায় সাকিবকে কেন একাদশে নেওয়া হচ্ছে না - সে প্রশ্ন মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
এরইমধ্যে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া সাকিব ও কেকেআরকে নিয়ে এমন টুইট করলেন, যা একাদশে সাকিবের অনুপস্থিতি নিয়ে তৈরি সমালোচনাকে আরো চাঙা করেছে।
শুধু মূল একাদশেই না, সাকিবকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান আকাশ।
টুইটারে আকাশ লিখেছেন, ‘হতাশাময় সময়। কলকাতা নাইট রাইডার্স কি বাকি ম্যাচগুলোর জন্য সাকিবকে অধিনায়ক করে দেখতে পারে? মরগ্যানের বিরুদ্ধে কিছু বলছি না। কিন্তু যদি তার ব্যাট থেকে রান আসতো, তা আসছে না। সেরা খেলোয়াড়দেরও এমন হতেই পারে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কয়েক ওভার বোলিংও দিতে পারবে সাকিব।’
সাকিবের পক্ষে আকাশ চোপড়ার এমন টুইটে অবশ্য বিস্মিত হননি কেউ। কারণ আমিরাতে আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগ শুরুর পর থেকেই দলে সাকিবের অন্তর্ভূক্তি চাইছেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার রাতে কলকাতা ও পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচের টসের পর একাদশে সাকিবকে না দেখেও হতাশা প্রকাশ করেন আকাশ।
টসের পরপরই এক লাইনের টুইটে দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন আকাশ, ‘সাকিব যদি একজন কিউই হতেন...’ #আইপিএল২০২১’
একলাইনের পোস্টেই কেকেআরের কিউই কোচ ম্যাককালামকে একহাত নিয়ে ফেলেন আকাশ। কারণ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ও ফার্গুসনের বদলি হিসেবে দুই কিইউ তারকাকে একাদশে ভেড়ায় নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট।