শিরোনাম
টেস্ট ফরম্যাটে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিকুর রহিম।
তামিম ইকবালকে টপকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার দৌড়ে ছিলেন মুশফিক ও তামিম। মাইলফলক স্পর্শ করার পথে রানের হিসাবে এগিয়ে ছিলেন মুশফিক।
এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন ছিল ৬৮ রান। অপরদিকে তামিমকে করতে হতো ১৫২ রান। তবে ওপেনার তামিম নিজের ব্যাটিং পজিশনের সুযোগ নিয়ে প্রথম টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার পথে দারুণভাবেই এগিয়ে গিয়েছিলেন।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে হাতে ক্র্যাম্প করায় মাইলফলক স্পর্শ করার ১৯ রান আগে অপরাজিত ১৩৩ রানের ইনিংস খেলে রিটায়ার্ড হার্ট হোন তামিম। ফলে তখন তামিমকে টপকে পাঁচে নামা মুশফিকের সামনে প্রথম টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে মাইলফলকটি স্পর্শ করার সুযোগ চলে আসে।
মুশফিকও সেই সুযোগটি নিতে কোনো ভুল করেননি। তৃতীয় দিন অর্ধশতক পূর্ণ করে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। চতুর্থ দিন সকালে মাত্র ১৫ রানের অপেক্ষা ছিল এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের। এই রানের জন্য তাড়াহুড়ো না করে দেখেশুনে খেলতে থাকেন মুশফিক। সকালের সেশনে ৪৮ বলে করেছেন কাঙ্খিত সেই ১৫ রান। শেষ পর্যন্ত আসিথা ফার্নান্দোর বলে পিছে বল ঠেলে দিয়ে ২ রান নিয়ে মাইলফলকে পৌঁছে যান তিনি।
এর আগে, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দ্বিশতক হাকানোর পথেও মোহাম্মদ আশরাফুলের পেছনে ছিলেন মুশফিক। সেই ম্যাচেও দ্বিতীয় হতে হতেও প্রথম হয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। আশরাফুল ১৯০ রানে আউট হওয়ায় মুশফিক বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে গলের সে ম্যাচে দ্বিশতকের কীর্তি গড়েন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৬১ রান। মুশফিক অপরাজিত আছেন ৭০ রানে। অপর প্রান্তে লিটনের সংগ্রহ ৭৯। এই দুই ব্যাটসম্যান চতুর্থ উইকেট জুটিতে তুলে ফেলেছেন অবিচ্ছিন্ন ১৪১ রান। সকালের সেশনে অবশ্য ধীরগতিতে রান তুলেছে লিটন-মুশফিক দুজনেই। ১৬ ওভারে রান তুলেছে ৪৩ রান।
২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে মুশফিকের। সে থেকে গত ১৭ বছরে ৮১ টেস্টে এসে ৫০০০ রান স্পর্শ করলেন এই অভিজ্ঞ টাইগার ক্রিকেটার। টেস্টে ২৬টি অর্ধশতক ও ৭টি শতক আছে মুশফিকের।
সব ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও মুশফিকের। ৪১৪ ম্যাচে করেছেন ১৩ হাজারের বেশি রান। তার সামনে আছেন কেবল তামিম। যিনি ৩৬৫ ম্যাচে করেছেন সাড়ে ১৪ হাজার রান।
সূত্র: আরটিভি