শিরোনাম
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফিরতি পর্বের ম্যাচটি খেলা শুরুর পরপরই বন্ধ করে দিয়েছিল স্বাগতিক ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আর্জেন্টিনা চারজন ফুটবলারকে মাঠে নামানোর কারণেই খেলা শুরুর পরপরই ম্যাচটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
এ নিয়ে ওই সময় তুমুল হট্টগোলও হয়। যা পরবর্তীতে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু ম্যাচটি পূনরায় হবে কী হবে না- তা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা নির্দেশ দিয়েছে ম্যাচটি আবারও খেলতে হবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে। সোমবার ফিফার পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
গতবছর ৫ সেপ্টেম্বর ওই ম্যাচটি মাঠে গড়িয়েছিল। ৫ মিনিট যেতে না যেতেই বন্ধ করে দেয়া হয়। ব্রাজিল পরে ম্যাচটি আবার খেলতে চাইলেও আর্জেন্টিনা খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। তাদের যুক্তি- ‘আমরা তো ভুল কিছু ছিলাম না।’ শেষ পর্যন্ত ফিফার আদালতের দ্বারস্থ হয় ব্রাজিল।
ফিফা সব কিছু আলোচনা-পর্যালোচনা করে সোমবার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, ম্যাচটি খেলতে হবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে। সে সঙ্গে দুই পক্ষকেই ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ করে জরিমানাও করা হয়েছে। যদিও জরিমানার পরিমাণ এর আগে আরও বেশি ছিল। ব্রাজিলের জরিমানা ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ, আর আর্জেন্টিনার জরিমানা ছিল ১ লাখ সুইস ফ্রাঁ।
ফিফার আপিল কমিটি দুই দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে সমান ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ করে দিয়েছে।
ফিফার পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ‘দুই দলের পক্ষ থেকে যে সব অভিযোগ এবং প্রমাণপত্র দেয়া হয়েছে, সে সব পর্যালোচনা করার পর ফিফার আপিল কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দলের মধ্যে ম্যাচটি আবার অনুষ্ঠিত হবে এবং ম্যাচ স্থগিত করার কারণে দুই দলকেই ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ করে জরিমানা করা হলো।’
লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে এরইমধ্যে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা- দুই দলই কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে। ফিফার আপিল কমিটি জানিয়েছে, তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষকেই অবহিত করা হয়েছে।