শিরোনাম
২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফির কথা। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার অলিখিত সেমিফাইনালে অনেকটা এমন কাণ্ডই ঘটেছিল।
নো-বল নিয়ে ঝামেলা করার কারণে বাংলাদেশ দলের দুই ব্যাটারকে মাঠ ছেড়ে আসতে বলেছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানা একই ওভারে টানা দুটি বাউন্সার ছোঁড়ার পরও ফিল্ড আম্পায়াররা নো-বলের সংকেত না দিলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাকিব। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানকে মাঠ থেকে বের হয়ে আসতে বলেন।
পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার শুরু হয় ম্যাচ। পরের ৪ বলে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। উঠে যায় ফাইনালে।
বাংলাদেশের ওই সাফল্যের পরও সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা থামেনি। বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়ায় রীতিমত ‘গুণ্ডা’ তকমা দেওয়া হয় তাকে। ভারতের কিংবদন্তি স্পিনার হরভজন সিং তো পুরো বাংলাদেশ দলকেই নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন ওই ঘটনায়।
‘আজ তাক’ নামে ভারতীয় এক টিভি চ্যানেল ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে শিরোনাম করে, বাংলাদেশি ‘গুন্ডের’ সামনে ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
এবার একইরকম কাণ্ড ঘটলো আইপিএলের ম্যাচে। শেষ ৬ বলে দিল্লি ক্যাপিটালসের দরকার ৩৬ রান। রভম্যান পাওয়েল প্রথম তিন বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন।
এর মধ্যে ওবেদ ম্যাকওয়ের করা তৃতীয় বলটি ছক্কা মেরেই আম্পায়ারের কাছে ছুটে যান পাওয়েল। বল যে তার কোমরের ওপরে ছিল! কিন্তু আম্পায়ার ‘নো’ ডাকেননি, তৃতীয় আম্পায়ারেরও শরণাপন্ন হতে নারাজ।
বাউন্ডারির বাইরে থেকে এমন পরিস্থিতি দেখে ‘সাকিব’ বনে যান দিল্লি অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। উইকেটে থাকা পাওয়েল আর কুলদিপ যাদবকে হাত ইশারা করে মাঠের বাইরে চলে আসতে বলেন।
পাওয়েল-কুলদিপ বের হয়ে আসছিলেন, এমন সময়ে তাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে আটকান আম্পায়াররা। এদিকে পান্তকে শান্ত করেন টিম ম্যানেজম্যান্টের বাকি সদস্যরা।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা শেষ হয়। রাজস্থান রয়্যালস জেতে ১৫ রানে। আম্পায়ার ‘নো’ বল না দেওয়ায় পরের তিন বল থেকে ১৮ রান নিয়ে অসাধ্য সাধন করতে পারেনি দিল্লি।
এবার তবে কী বলবে ভারতীয় গণমাধ্যম? কী বলবেন হরভজন সিং? তিনি কি দিল্লি ক্যাপিটালসকে নিষিদ্ধের দাবি তুলবেন? ভারতীয় গণমাধ্যম কি পান্তকে ‘গুণ্ডা’ আখ্যা দিবে? উত্তরটা সময়ের হাতেই তোলা থাক!
সূত্র: জাগো নিউজ