শিরোনাম
পুরুষ ফুটবল কী বার্সায় তাহলে অজনপ্রিয় হয়ে উঠছে? সে জায়গাটা দখল করে নিচ্ছে নারী ফুটবল? স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার দিকে তাকালে সে সত্যেরই দেখা মিলবে।
কারণ, বার্সেলোনার পুরুষ ফুটবলের চেয়ে নারী ফুটবলে এখন দর্শক বেশি হয়।
শুধু ‘বেশি হয়’ বললে ভুল বলা হবে। রীতিমত রেকর্ডও গড়ে ফেলে তারা। এই যেমন শুক্রবার রাতে নারী ফুটবলের ইতিহাসেই সবচেয়ে বেশি দর্শক সমাগমের রেকর্ড গড়লো বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্প। উলফসবার্গের বিপক্ষে উয়েফা ওমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে প্রথম পর্বের ম্যাচে বার্সার খেলা দেখতে আসা দর্শকরা গড়েছেন এই রেকর্ড।
ন্যু ক্যাম্পে শুক্রবার রাতে উপস্থিত ছিলেন ৯১ হাজার ৬৪৮ জন দর্শক। নারী ফুটবলের আন্তর্জাতিক কিংবা ক্লাব- যে কোনো পর্যায়ে এটাই সবচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিত হওয়ার রেকর্ড। উলফসবার্গের বিপক্ষে এই ম্যাচে বার্সেলোনার নারীরা জিতেছে ৫-০ গোলের ব্যবধানে।
এর আগে চলতি বছরই বার্সেলোনার মাঠে সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড হয়েছিল। গত মার্চে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচটি উপভোগ করার জন্য ৯১ হাজার ৫৫৩ জন দর্শক উপস্থিত হয়েছিল। যা শুক্রবারে উলফসবার্গের বিপক্ষে ম্যাচ দেখার জন্য উপস্থিত দর্শকের চেয়ে ৯৫ জন কম।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড ছিল ১৯৯৯ সালে। নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন। ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনা রোজবোল স্টেডিয়ামে সেদিন উপস্থিত হয়েছিল ৯০ হাজার ১৮৫জন দর্শক।
ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার মিডফিল্ডার পাত্রি গুইজারো সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটা ছিল দেখার মত একটা বিষয়। আজ এবং একমাস আগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে এত দর্শক হয়েছিল! সত্যিই এত দর্শক দেখে আমাদের মুখে কোনো কথা নেই। আমি নিশ্চিত যে, যত দিন এবং বছর কেটে যাবে- আমরা যা অর্জন করেছি তার চেয়েও বেশি কিছু হয়ে উঠবো। সত্যি বলতে আমরা জানতামই না যে এত বিশাল পরিমাণে দর্শক উপস্থিত হবে।’
তবে, অনেকেই মনে করে ১৯৭১ সালে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ডেনমার্ক এবং স্বাগতিক মেক্সিকোর ম্যাচ দেখার জন্য আজটেকা স্টেডিয়ামে ১ লাখ ১০ হাজার দর্শক উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু সেই ম্যাচে দর্শক উপস্থিতির অফিসিয়াল কোনো রেকর্ড নেই। ম্যাচটিতে মেক্সিকোকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ডেনমার্ক।
সাধারণত বার্সেলোনার নারী ফুটবলের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়, ৬ হাজার সিটের স্টাডিও ইয়োহান ক্রুয়েফ-এ। ক্লাবের ট্রেইনিং গ্রাউন্ড হিসেবেও ব্যবহার করা হয় একে। কিন্তু টিকিটের চাহিদা বাড়তে থাকায়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ম্যাচগুলো ন্যু ক্যাম্পে নিয়ে আসতে হয়।
৯৯ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই স্টেডিয়ামে বার্সা নারী ফুটবলারদের এটা মাত্র তৃতীয় প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। গত বছর করোনার কারণে এস্পানিওলের বিপক্ষে ক্লোজডোর স্টেডিয়ামে খেলতে হয়েছে তাদেরকে। এরপরের দুটি ম্যাচেই রীতিমত দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড গড়লো তারা।
সূত্র: জাগো নিউজ