নেইমার-এমবাপের গোলের হ্যাটট্রিক, অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক মেসির

ফানাম নিউজ
  ১০ এপ্রিল ২০২২, ১২:৫৯

মেসি-নেইমার-এমবাপে; সংক্ষেপে যাদের বলা হয় এমএনএম। সময়ের অন্যতম সেরা তিন ফুটবলারকে দলে ভেড়ানোর পর তাদের কাছ থেকে যথাযথ সার্ভিস পাওয়া নিয়ে নানান কথাই শুনতে হয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে। অবশেষ একসঙ্গে জ্বলে উঠছেন এ তিন তারকা।

শনিবার রাতে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে গোলের হ্যাটট্রিক করেছেন নেইমার জুনিয়র ও কাইলিয়ান এমবাপে। তাদের দিয়ে গোল করিয়ে অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন লিওনেল মেসি। এ তিনজনের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের দিন ক্লারমন্ত ফুটকে ৬-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে পিএসজি।

এর আগে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে লরিয়েন্তকে ৫-১ গোলে হারিয়েছিল ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি। সেদিন জোড়া গোল করেছিলেন এমবাপে ও নেইমার। অন্য গোল এসেছিল মেসির পা থেকে। ঠিক পরের ম্যাচেও দলকে বড় জয় এনে দিলেন এ তিন তারকা।

ক্লারমন্তের মাঠে খেলতে গিয়ে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই মেসির অ্যাসিস্ট থেকে দলকে এগিয়ে দেন নেইমার। ম্যাচের আয়ু ২০ মিনিট হওয়ার আগে মেসির দ্বিতীয় অ্যাসিস্টে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে। বিরতিতে যাওয়ার আগে জোদেল দোসুর গোলে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয় ক্লারমন্ত রক্ষণে। তবু গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়ে ৭১ মিনিট পর্যন্ত। ডি-বক্সের মধ্যে এমবাপেকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। স্পট কিক থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন নেইমার।

এর মিনিট তিনেক পর এমবাপেকে গোল বানিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। দলের হালি ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে নেন এমবাপে। ম্যাচের ৮০ মিনিটের মাথায় মেসির হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্ট থেকে নিজের গোলের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এ ফরাসি তরুণ।

এমবাপের গোলের ও মেসির অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক হওয়ার পর বাকি ছিল নেইমারের গোলের হ্যাটট্রিক। সেটির জন্য সময় লাগে তিন মিনিট। এবার বল বানিয়ে দেন এমবাপে, সহজেই লক্ষ্যভেদ করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন নেইমার। যা দলকে এনে দেয় ৬-১ গোলের জয়।

২০১৯ সালের জানুয়ারির পর এবারই প্রথম লিগ ওয়ানের একই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেন একই দলের দুই খেলোয়াড়। এছাড়া লিগ ওয়ানের একই মৌসুমে দুইবার অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করা প্রথম খেলোয়াড় হয়ে গেছেন মেসি। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারে ছয়বার অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি।

এমএনএমের এমন উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের দিন পাওয়া বড় জয়ে ৩১ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে পিএসজি। দুই নম্বরে থাকা রেনের সংগ্রহ ৩১ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট। মার্শেইর ঝুলিতে রয়েছে ৩০ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট। শেষ সাত ম্যাচ থেকে মাত্র ১০ পয়েন্ট পেলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে পিএসজি।

সূত্র: জাগো নিউজ